ইকোনোমিক ডেস্ক: মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণে প্রকল্পের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক। এসময় ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি করেন, নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। যিনি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন আর স্বপ্ন দেখাতেও ভালোবাসেন।
মানুষের ভেতরের সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলা এবং সে-ই সম্ভাবনাকে দেশের কল্যাণে কাজে লাগানোর জন্যই তিনি গড়ে তুলেছেন বিশাল এক উদ্যোক্তা পরিবার। এই উদ্যোক্তারাই আজ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন ‘নগদ’-এর সফলতার এক একটি গল্প। যার ফলশ্রুতিতে আজ সারাদেশে ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণের মাধ্যমে গেলো ৬ মাসে সরকারের সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ৪শ কোটি টাকা। একইসঙ্গে স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতও সম্ভব হয়েছে। তাই মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দেয়া হয়েছে তাদের মায়ের কাছে। একইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় ভাতা বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ১ কোটি মানুষের মাঝে দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারও। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পাশাপাশি সাশ্রয় হয়েছে সরকারী প্রকল্পের অর্থেরও।
বছেরর প্রথমার্ধ্বে প্রায় এক কোটি মানুষের কাছে অর্থ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় এই ভাতার টাকা বিতরণে দারুণ অবদান রেখেছে মোবাইল ব্যাংকিং।
টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ আয়োজিত ওয়েবিনারে উঠে আসে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের বেশ কিছু ইতিবাচক তথ্য। দেশকে ডিজিটালাইজড করার মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে উন্নত দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে বলে জানান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এই অগ্রগতিতে শতভাগ ডিজিটাল দেশে রূপান্তরের পথপ্রদর্শক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। জীবনকে আরো সহজ করতে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের পরামর্শ মন্ত্রীর।
সূত্র : নগদ স্যোশাল মিডিয়া ও বিভিন্ন গণমাধ্যম