ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিধানসভার আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই তাঁর এই সফর বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ নরেন্দ্র মোদি বিহারে নির্বাচনী প্রচার সেরে বিকেলে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শিল্পশহর দুর্গাপুরে আসবেন। সেখানে নেহরু স্টেডিয়ামে বিজেপি আয়োজিত এক জনসভায় ভাষণ দেবেন।
এর আগে অপারেশন সিঁদুরের পর প্রধানমন্ত্রী গত ২৯ মে প্রথম পশ্চিমবঙ্গে এসে যোগ দেন আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত বিজেপির এক জনসভায়। সেখানে তিনি হাতিয়ার করেছিলেন এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দুর্নীতিকে।
বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচন আগামী বছরের প্রথম দিকে হওয়ার কথা। আর সেই নির্বাচন ঘিরেই মোদির এ আগমন।
আজ বিহারের নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেওয়ার পর বিমানযোগে বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে দুর্গাপুরের অন্ডাল বিমানবন্দরে আসবেন নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকে তাঁর ১৫ কিলোমিটার দূরের দুর্গাপুরের জনসভাস্থলে যাওয়ার কথা সড়কপথে। তবে এ পথের শেষের তিন কিলোমিটার তিনি গাড়িতে করে জনগণকে অভিনন্দন জানাতে জানাতে দুর্গাপুরের সভাস্থলে ঢুকবেন বলে জানা গেছে।
মোদির জন্য দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামের মঞ্চ করা হয়েছে দুভাগে। জনসভার মঞ্চের ঠিক পেছনে আরেকটি মঞ্চ নির্মিত হচ্ছে মোদির প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য। এ মঞ্চ থেকে তিনি বিভিন্ন আর্থিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করবেন। ওই বৈঠকের পর তিনি সামনের মঞ্চে এসে রাজনৈতিক ভাষণ দেবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী মোদি এক্সে দেওয়া বার্তায় এ জনসভায় যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তৃণমূলের কারণে আজ রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাজ্যের উন্নয়ন একমাত্র বিজেপির হাতেই রয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, তৃণমূল এবার এই বিধানসভার নির্বাচনের মূল ইস্যু করতে পারে গোটা দেশে বাঙালি হেনস্তা, বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে ভারতীয় পরিযায়ী শ্রমিকসহ অন্যান্য বাংলাভাষীকে হেনস্তা করা নিয়ে।
অন্যদিকে বিজেপি এবার নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলের দুর্নীতিকে ইস্যু করে তুলতে পারে। বিজেপি এবার ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যপাট থেকে দুর্নীতির কারণে বিদায় নিতে হবে তৃণমূলকে। ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।
সর্বশেষ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচন হয়েছিল ২০২১ সালে। ওই নির্বাচনে এই রাজ্যের বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ২১৩টি আসনে আর বিজেপি জিতেছিল ৭৭টি আসনে। কংগ্রেস ও বাম দল একটি আসনও না পেলেও তবে নতুন দল আইএসএফ বা ইন্ডিয়ান সেকু৵লার ফ্রন্ট একটি আসনে জিতেছিল।