এ–বিষয়ক বিস্তারিত তথ্যে বলা হয়, ওই সময় পিকে বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বার্তামেউকে বলেছিলেন, প্রতি মৌসুমে বোনাস ও কর বাদ দিয়ে তাঁর আয় যেন ১৫ মিলিয়নের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, যাতে তিনি সার্জিও রামোসকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া সেন্টার ব্যাক হতে পারেন।
রিয়াল মাদ্রিদে থাকা রামোস তখন সাড়ে ১২ মিলিয়ন ইউরো পেতেন। তবে বার্তামেউ তাঁকে ১২ মিলিয়নের নিশ্চয়তা দেন।
খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তির আর্থিক তথ্যকে সব সময়ই গোপনীয় বিষয় হিসেবে দেখে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। অনেক ক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদও প্রকাশ করা হয় না।
কিন্তু পিকের চুক্তির ক্ষেত্রে টাকার অঙ্কের পাশাপাশি বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল, পাশাপাশি ২০২০ সালে মেসির সঙ্গে যে চুক্তি হয়নি, সেই চুক্তি ঘিরে চালাচালি হওয়া আলাপও প্রকাশ্যে চলে আসায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ।
পরপর দুটি চুক্তির তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিষয়টিকে ক্লাবের গোপনীয়তার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে বার্সেলোনা।
বুধবার এ নিয়ে একটি বিবৃতিতে আইনি পদক্ষেপের হুমকি দেওয়া হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে, ‘আইনি প্রক্রিয়ার অংশ—এমন তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে বার্সেলোনা। ক্লাবের অধিকার সুরক্ষায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখছে বার্সেলোনার আইন বিভাগ।’