পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নামে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আবু সাঈদ বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে আহত হন তিনি। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান।
যেভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন বেরোবির আবু সাঈদ, দেখুন ছবিতে
এর আগে ফেসবুকে শহীদ শামসুজ্জোহার একটি বাণী শেয়ার করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, ‘স্যার! এই মুহুর্তে আপনাকে ভীষণ দরকার স্যার! আপনার সমসাময়িক সময়ে যারা ছিল সবাই তো মরে গেছে, কিন্তু আপনি মরেও অমর। আপনার সমাধি, আমাদের প্রেরণা। আপনার চেতনায় আমরা উদ্ভাসিত’।
বর্তমান প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘আপনারাও প্রকৃতির নিয়মে একসময় মারা যাবেন। কিন্তু যতদিন বেচেঁ আছেন মেরুদণ্ড নিয়ে বাচুঁন। নায্য দাবিকে সমর্থন জানান, রাস্তায় নামুন, শিক্ষার্থীদের ঢাল হয়ে দাড়াঁন। প্রকৃত সম্মান এবং শ্রদ্ধা পাবেন। মৃত্যুর সাথে সাথেই কালের গর্ভে হারিয়ে যাবেন না। আজন্ম বেচেঁ থাকবেন শামসুজ্জোহা হয়ে। অন্তত একজন ‘শামসুজ্জোহা’ হয়ে মরে যাওয়াটা অনেক বেশি আনন্দের, সম্মানের আর গর্বের’।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র সাঈদের মৃত্যুর শোকে স্তব্ধ পুরো গ্রাম
আবু সাঈদের মৃত্যুর পর অনেকে তার সেই পোস্টে কমেন্ট করেছেন। একজন লিখেছেন, কোটা আন্দোলনের প্রথম শহিদ।
আরেকজন লিখেছেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের শহিদদের দেখিনি, তবে দেখলাম ২৪ এর কোটা আন্দোলনের প্রথম শহিদকে।
অন্য একজন লিখেছেন, ঠিক ‘শামসুজ্জোহা’র পথ অনুসরণ করেই সম্মান এবং গর্বের সাথে বিদায় নিলেন! আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন, আমিন।