কুমিল্লা প্রতিনিধি: মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল নিহত হয়েছেন। গুলিতে তার সহযোগী হরিপদও নিহত হন। এসময় আরও কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে নগরীর সুজানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
গুরুতর আহত অবস্থায় কাউন্সিলর সোহেলকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়েছিলো। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ৬ জনকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, কাউন্সিলর সোহেল সোমবার তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে বসা ছিলেন। এসময় মুখোশ পরিহিত ৮-১০ জনের একটি দুর্বৃত্তের দল এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে তার অফিসে প্রবেশ করে। খুব কাছে থেকে সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলরকে গুলি ছুঁড়লে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে মোটর সাইকেল-সিএনজিযোগে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় মসজিদের মাইকে কাউন্সিলরের অফিসে গুলিবর্ষণের ঘটনা প্রচার করা হলে শত শত মানুষ ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে আসে।
স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলরসহ আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ জন ও অন্যান্যদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর আহতরা হলেন- অ্যাডভোকেট সোহেল চৌধুরী, হরিপদ সাহা, মো. রাসেল, মাজেদুল হক বাদল, রিজু মিয়া, মো. জুয়েল।
এ ঘটনার পর সুজানগর পাথুরিয়াপাড়া, বউ বাজার, সংরাইশ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতে শত শত লোকজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিড় জমায়। এলাকায় কাউন্সিলরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েকটি স্থানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম জানান, পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ঘটনার নেপথ্য কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং জড়িতরা যেই হোক দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।