মল্লিক মাকসুদ আহমেদ বায়েজীদ।।রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জে এবারের পয়লা বৈশাখের সকালে পান্তা-ইলিশের আয়োজন না থাকলেও নানা আনুষ্ঠানিকতায় উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ-১৪২৯।”নতুন উদ্দামে সফলতাকে মুঠোয় করে আনার জন্য পিছনে ফেলে দিতে হবে বিষাদ-বিসম্বাদ-মলিনতা,মুছেঁ ফেলতে হবে হতাশা-গ্লানি-আড়ষ্ট আর জড়তা,চপল পায়ে মাড়িয়ে দিতে হবে কন্টাকীর্ণ সিঁড়ি,পুড়ানো শেঁকলে বাঁধা ব্যর্থতার প্রাণে জোগাবে সঞ্চার,ভেঙ্গে ফেলে লৌহ কপাট নিঃশ্বাস নেও বৈশাখের বাতাস”–স্বাগতম হে পয়লা বৈশাখ।এমন সংকল্প,শপথ আর প্রগাঢ় অনুপ্রেরণায় সারা বিশ্বের বাঙ্গালীদের মতো মির্জাগঞ্জেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃতানিয়া ফেরদৌস-এর নায়কতায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান),উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক,শিক্ষক,কলেজ,বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী সমবেত র্যালিটি মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে উপজেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমূহ প্রদিক্ষন করে সুবিদখালী র ই সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উপজেলা প্রশাসন চত্ত্বরে এসে সমাপ্ত করে।এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতীকী ব্যবহার করে নানান বর্ণিল সাজ গোজ ও বাঙ্গালী ভূষণে নিজেদের উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়।দীন ইলাহী প্রবর্তক মুঘল সম্রাট আকবর খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে তৎকালীন সময় শুরু করেছিলেন সাল গণনার একটি নতুন পন্থা যা ধীরে ধীরে বাঙ্গালী ঐতিহ্যের পরতে পরতে মিশে গিয়ে বর্ষ পঞ্জির প্রথম দিনটি একটি বড় উৎসবে পরিণত হয়ে যায়।
ছড়া,কবিতা আবৃত্তি,সাংস্কতিক অনুষ্ঠান,গ্রামীণ খেলাধুলা,ঘোড়ার দৌড়,সভা ও বক্তৃতার মাধ্যমে বৈশাখের এই প্রথম দিনটি কেটে যায়।আনন্দ ও উল্লাসের ধারা একটি দিনেই সীমাবদ্ধ না রেখে উপজেলা প্রশাসন সংযোজন করেছে আরো দুটি দিন অর্থাৎ তিন দিন ব্যপী লোকজ মেলা।চলবে বৈশাখের তৃতীয় দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত।নির্বাহী অফিসার মোসাঃতানিয়া ফেরদৌসের সাথে বৈশাখের পয়লা দিনে আরো যারা উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) মোসাঃহাসিনা বেগম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সভাপতি মোঃইসমাইল হোসেন মৃধা,সাধারন সম্পাদক মোঃজসিম উদ্দীন জুয়েল বেপারী,সদস্য মোঃমাসুদ রানা জালাল জোমাদ্দার,উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃমনিরুল ইসলাম,সাধারন সম্পাদক মোঃরফিকুল ইসলাম জোমাদ্দার,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃরাজিব মৃধা,সাংবাদিক বৃন্দ,মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক মোঃরাকিব মৃধা,ছাত্রলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃআনোয়ার হোসেন জোমাদ্দার,আওয়ামী-অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ,সুধী সমাজ,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং আমন্ত্রিত সকল মেহমান।