চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি ও যুবদলের ৫ শীর্ষ নেতাকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজি, মিরসরাই থানা যুবদলের আহবায়ক কামাল উদ্দিন, জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম কে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয় । বহিষ্কারের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে রাতে নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে তাৎক্ষণিক করেরহাট, মিরসরাই উপজেলা সদর, বারইয়ারহাট, বড়তাকিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও সমাবেশ করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে বারইয়ারহাট পৌরসদরে এবং দুপুরে মিরসরাই উপজেলা সদরে মিছিল শেষে মিরসরাই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত¡রে সমাবেশ করেছে বহিষ্কার হওয়া নেতাদের অনুসারীরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলেন, নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, আওয়ামী লীগের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মিরসরাই জনপদে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন দেশনায়ক তারেক রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলবো আপনারা মিরসরাইয়ে একটি তদন্ত টিম পাঠান। সেই টিম নুরুল আমিন চেয়ারম্যান সংগঠনবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত কিনা খতিয়ে দেখুক পাশাপাশি যেসব নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তারা কোন সংগঠনবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল কিনা খতিয়ে দেখে বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মহিউদ্দিন, সাবেক সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইন, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক শাহিনুল ইসলাম স্বপন, বিএনপি নেতা রফিকুজ্জামান চেয়ারম্যান, বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম লিটন, কামরান সরোয়ার্দী, বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন লাভলু চৌধুরী, নুরুল আলম মেম্বার, মনজুরুল হক মঞ্জু, নাজমুল হক সোহাগ, রফিকুল ইসলাম, আজিজুল হক মেম্বার, ইমাম হোসেন বাবলু, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক মো. আশরাফ উদ্দিন, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক গোলাম জাকারিয়া, মঘাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এম হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ জিপসন, বারইয়ারহাট পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক নুরুল আফসার মিয়াজী, সদস্য সচিব মো. ফয়েজ উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহ মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক কামাল উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের সদস্য এসএম সুমন, বারইয়ারহাট পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শহীদুল ইসলাম, সদস্য সচিব নূরনবী, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সালমান হায়দার, মিরসরাই পৌরসভা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইনজামুল হক ইমন, ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ সেলিম, নাজিম সিদ্দিকী, মোহাম্মদ নাঈম সরকার।