মিরসরাইয়ে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে বিএনপির এক নেতা। মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুল আলম মামুন মেম্বারের উপর এ হামলা চালায় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা।
জানাগেছে, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের ঝুলন পোল বাজারের পূর্ব পাশ্বে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে লুদ্দাখালির এলাকার বিএনপির প্রতিপক্ষ গ্রুপের বাদসার নেতৃত্বে ১০/১২ জন পরিকল্পিত ভাবে এ হামলা করে । মামুনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে মস্তান নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থা খারাফ হওয়ায় প্রথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন মস্তান নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর দায়িত্বরত চিকিৎসক।
মস্তাননগর হাসপাতালের ডিউটি রত চিকিৎসক ডাঃ নাসরিন নাহার মিতু জানান, বিকাল সাড়ে ৪টায় ইছাখালী ইউনিয়নের মাদবারহাট এলাকার মাহফুজুল আলম মামুন (৪০) পিতা ডাঃ মুছা মিয়া কে গুরতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার হাতে পায়ে রক্তাক্ত জখম ছিলো। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, একাদিক মামলার আসামি বাদশার নেতৃত্বে দুপুর ৩টার সময় ঝুলনপোল বাজারের পাশে সামাজিক অনুষ্ঠানে দাওয়াত খেয়ে ফেরার সময় মামুনের উপর হামলা চালানো হয়। মামুন আজিজ উল্যাহ হাজী ভুইয়া বাড়ি ডাঃ মৃত মুছা মিয়ার সন্তান। তিনি ৬ নং ইছাখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ইছাখালী ইউনিয়ন বিএনপির পরিচ্ছন্ন নেতা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মাহফুজুল আলম মামুন। তার উপর যারা হামলা চালিয়েছে তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আমরা প্রশাসনের কাছে মামুন মেম্বারের উপর হামলা কারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন জানান, যারা মামুন মেম্বারের উপর হামলা করেছে তাদের এলাকার সবাই চিনে। প্রশাসন তাদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদা’র জানান, হামলার ঘটনায় এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে অপরাধীর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।