মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে শুক্রবার আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে শনিবার (৩০ মার্চ) পর্যন্ত দেশটিতে ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেবে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি।
ভূমিকম্পে আহত হয়েছে কয়েক হাজার। ভূমিকম্পে মিয়ানমারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সেখানে সড়ক যোগাযোগ, চিকিৎসাসেবা ও মুঠোফোন নেটওয়ার্ক ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসস্তূপ চোখে পড়ছে।
উদ্ধারকাজে যুক্ত নাগরিক দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে অসহায় বোধ করছেন তারা। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষের আর্তচিৎকার ভেসে আসছে।
মিয়ানমারের বাসিন্দাদের অনেকের মধ্যেই আতঙ্কের ছাপ রয়েছে এখনও। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। এর তীব্রতা এতটাই ছিল যার প্রভাব দেখা গেছে থাইল্যান্ড ও চীনেও।
শুক্রবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি আফটার শকও অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে।
প্রথম কম্পনের ১২ মিনিট পরে দ্বিতীয়টির মাত্রা ছিল ছয় দশমিক চার। এরপর শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত একাধিকবার মৃদু কম্পন অনুভব করা গিয়েছে বলে জানা গেছে।
মান্দালয়ের পাশাপাশি মিয়ানমারের একাধিক অঞ্চল এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে মান্দালয়, সাগাইং, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।