ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: মার্কিন বাহিনীর হামলায় নিহত ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানির জানাজায় পদদলিত হয়ে অন্তত ৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। মঙ্গলবার ইরানি এই জেনারেলের নিজ শহর কেরমানে দাফনের আগে অনুষ্ঠিত জানাজার সময় পদদলনের ঘটনায় এ প্রাণহানি ঘটে। এতে আরও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে বলে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কেরমানে দেশটির জনপ্রিয় এই জেনারেলের জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে কেরমানের কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করার কথা রয়েছে। গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের স্থপতি হিসেবে পরিচিত কুদস ফোর্সের শীর্ষ এই জেনারেলকে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়।
এর আগে সোমবার সকালে ইরাক থেকে যখন জেনারেল সোলেইমানির মরদেহ ইনকিলাব চত্বরে পৌঁছায় তখন লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রূপ নেয় তেহরান। পরে সেখান থেকে তার মরদেহ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিহত এ জেনারেলের জানাজায় নেতৃত্ব দেন।
মঙ্গলবার সকালে ইরানের জনিপ্রয় এই জেনারেলের মরদেহ তার নিজ শহর কেরমানে নেয়া হয়। শোকাহত লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি জানাজা অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। সোলেইমানির মরদেহবাহী কফিন ঘিরে লাখো মানুষের জনসমুদ্রের ছবি দেখিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, জেনারেল সোলেইমানির জানাজায় পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হন।
সোমবার তেহরানে জেনারেল সোলেইমানির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির লাখ লাখ মানুষ কুদস ফোর্সের নিহত এই প্রধানের জানাজায় অংশ নেন। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিহত জেনারেলের জানাজা নামাজ পড়ানোর সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানাজা শেষে কুদস ফোর্সের প্রধানকে হত্যার বদলা নিতে ওই অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন স্বার্থে সরাসরি আঘাত হানার নির্দেশ দেন। তেহরান বলছে, তারা প্রতিশোধের সম্ভাব্য ১৩টি উপায় ঠিক করেছে। বিপ্লবী গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি জানাজায় উপস্থিত লাখ লাখ জনতার উদ্দেশে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের আগুনে পুড়িয়ে দেবে ইরান।
এরআগে, সোলাইমানিকে দাফনের জন্য তার নিজ শহর কারমেনে হাজার হাজার লোক জড়ো হয়েছে। বিপ্লবী গার্ডের বিদেশি শাখার এ কমান্ডারের নিজ শহরেও তেহরান, কওম, মাশাদ ও আহবাজের মতো বিপুল সংখ্যক লোককে শোক জানাতে দেখা গেছে। সূত্র : বিবিস, রয়টার্স, আলজাজিরা, ডেইলি মেইল, আলজাজিরা, এএফপি।