ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: মার্কিন নাগরিক ও মিত্রদের আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশে সাময়িক স্থান দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশটির অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার।
সোমবার (১৬ আগস্ট) রাতে চ্যানেল টুয়েন্টিফোরকে ফোনে প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আফগানিস্তানে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও জণগণের মতামতকে প্রাধান্য দেবে এমন সরকার চায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের সরকার পরিবর্তন ও উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার বিকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পুরো আফগানিস্তান এখন তালেবানদের। আশরাফ গনির দেশ ছাড়ার মাধ্যমে, যুদ্ধ শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছে তালেবান। চলছে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতি।
তালেবানের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেয়েছে আফগানরা। তবে সমর্থন দেবে না যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘আফগানিস্তান ফের সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি হোক এটি কেউই চায় না। এ মুহূর্তে পশ্চিমাদেশগুলোকে তালেবানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনোভাবেই তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া যাবে না।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, ‘যুদ্ধ সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। দেশটির জনগণও আর যুদ্ধ চায় না। সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর আর শান্তি প্রতিষ্ঠায় আফগানিস্তানের পাশে থাকবে চীন।’
আফগানিস্তানে রুশ রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি জোরোনভ বলেন, ‘তালেবানরা কথা দিয়েছে বিদেশি দূতাবাস কিংবা নাগরিকদের কোনো ক্ষতি করবে না তারা। তাই আগের মতোই দূতাবাসের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে রাশিয়া।’
দেশ ছাড়ার চেষ্টায় কাবুলের বিমানবন্দরে ভিড় করেছেন হাজার হাজার আফগান। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বন্ধ করে দেয়া হয় বাণিজ্যিক ফ্লাইট।