ন্যাশনাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে হবে নবীন অফিসারদের। দেশে-বিদেশে দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে। এভাবেই আমাদের সেনাবাহিনী সব মহলের প্রশংসা অর্জন করেছে। রোববার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে রাষ্ট্রপতি প্যারেড-২০২১ এ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী। তবে বহিঃশত্রু আক্রমণ করলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষমতা অর্জন করেছে দেশ।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, সেনাবাহিনীর জন্য নতুন পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩টি নতুন পদাতিক ডিভিশন এবং প্রথম প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড গঠন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক সাঁজোয়া যান এবং গোলন্দাজ কোরে মাঝারি ও দূরপাল্লার এমএলআরএস রেজিমেন্ট। বিধ্বংসী স্বয়ংক্রিয় সোরাড, ভিসোরাড এবং সর্বাধুনিক অরলিকন মিসাইল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আকাশ প্রতিরক্ষায় সূচিত হয়েছে যুগান্তকারী পরিবর্তন।
সরকার প্রধান বলেন, সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও সিগন্যাল সরঞ্জামাদি যুক্ত হয়েছে। এছা ছাড়া বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র, হেলিকপ্টার, বিমান, মডার্ন ইনফ্যান্ট্রি গেজেট সংযোজিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব অস্ত্র-সরঞ্জামাদির জন্য প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিপুল সংখ্যক নতুন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া এসব সংক্রান্ত বহু কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।