আইন ও আদালত ডেস্ক, আজনিউজ২৪: মানিকগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় মো. সাদ্দাম মিয়া (৩০) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
বুধবার বিকেলে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের হাকিম মোহাম্মদ আলী এই দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সাদ্দাম মিয়া মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার গোবর নার্চি গ্রামের আহম্মেদ আলীর ছেলে। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ৮ নভেম্বর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া এলাকার ছানোয়ার হোসেনের মেয়ে কলেজ ছাত্রী তুহিন সুলতানা আক্তার মীমকে ধর্ষণ করে আসামী সাদ্দাম মিয়া। ধর্ষণের পর মীমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মীমের ঘরে থাকা ৭৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় সাদ্দাম।
এ ঘটনায় মীমের বাবা ছানোয়ার হোসেন বাদি হয়ে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেন। পরের বছর কোর্টে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামী সাদ্দামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় সম্ভু সরকার ও তপু পালকে খালাস দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি কেএম নুরুল হুদা রুবেল ও আসামী পক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বাদশা মামলা পরিচালনা করেন। এদিকে, সিলেটের বিশ্বনাথে আপন ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগে চাচাকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শনিবার সকালে বিশ্বনাথ থানায় ভিকটিম নিজে বাদি হয়ে চাচা আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। মামলার পরপরই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামিম মুসা জানান: গত ২ মাস আগে আব্দুর রশিদ তার ভাতিজিকে প্রথম ধর্ষণ করেন। পরবর্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে ভাতিজিকে ডেকে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারী আজ সকালে বিশ্বনাথ থানায় গিয়ে চাচার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত চাচা আব্দুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রত্না বেগম জানান: মামলা দায়েরের পর ভিক্টিমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। আর আসামী আব্দুর রশিদকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সূত্র : চ্যানেল আই ও সময় টিভি