মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় শিশুশিক্ষার্থীকে (১১) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহরের একটি বাজার থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগাঁও (পদ্মবিলা) গ্রামের সাদ্দাম হোসেন (২৮), সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কুরকী গ্রামের আলামিন (২২) ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম দাশড়া এলাকার মো. সোহান (২৫)। তাঁরা ওই বাজারে মুরগির দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল রাতে শিশুটির মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ ওই তিনজনকে এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
সদর থানা-পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২২ আগস্ট সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাড়ি যাওয়ার পথে শিশুটির পথরোধ করেন আসামিরা। তাঁরা শিশুটির মুখ চেপে পাশের একটি দোকানে নিয়ে যান। সেখানে তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন চারজন। ঘটনার কথা কাউকে জানালে তাকে গলা কেটে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। প্রাণভয়ে শিশুটি বাড়ির কাউকে কিছু না বলে শুধু শরীর খারাপের কথা জানায়। গত বুধবার রাতে সে ঘটনার বিস্তারিত মাকে জানায়। বিষয়টি গতকাল দুপুরে জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন সাদ্দাম ও আলামিনকে পিটুনি দেন। পরে খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ বাজার থেকে ওই দুজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোহানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে গতকাল শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। আজ শুক্রবার শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করার কথা আছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এস আমান উল্লাহ। তিনি বলেন, অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।