কোপাইলট প্লাস পিসিতে চালু হওয়া মাইক্রোসফটের ‘রিকল’–সুবিধা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে প্রযুক্তিবিশ্বে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে ল্যাপটপের পর্দার স্ক্রিনশট নিতে পারায় রিকল–সুবিধাকে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার জন্য হুমকি বলে মনে করছে বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান। গত মে মাসে প্রথম রিকল–সুবিধার বিরোধিতা করে বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ সিগন্যাল। এবার তাদের দেখানো পথে হাঁটল জনপ্রিয় ব্রাউজার ‘ব্রেভ’ ও অনলাইনে বিজ্ঞাপন প্রতিরোধকারী সফটওয়্যার ‘অ্যাডগার্ড’।
মাইক্রোসফটের রিকল–সুবিধা মূলত কোপাইলট প্লাস ল্যাপটপে চালু করা হয়েছে। ল্যাপটপের পর্দায় থাকা যেকোনো আধেয় বা কনটেন্ট অনিচ্ছাকৃতভাবে সার্ভারে সংরক্ষণের ঝুঁকি থাকায় শুরু থেকেই রিকল–সুবিধা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টিকে ‘গোপনীয়তার জন্য স্পষ্ট হুমকি’ আখ্যা দিয়ে এক ব্লগপোস্টে অ্যাডগার্ড জানিয়েছে, ব্যাকগ্রাউন্ডে এমনভাবে স্ক্রিনশট নেওয়ার প্রক্রিয়াটি অস্বস্তিকর। এর ফলে যেকোনো সময় পর্দায় থাকা স্পর্শকাতর বা একান্ত ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্ত অজান্তে সংরক্ষণ করা হতে পারে, যা ব্যবহারকারীরা কখনোই চান না। ব্রেভ ব্রাউজারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উইন্ডোজ ১১ এবং পরবর্তী সংস্করণগুলোতে চলা যন্ত্রে ব্রাউজার থেকেই রিকল–সুবিধা ডিফল্টভাবে বন্ধ করে রাখা হবে। তবে ব্যবহারকারীরা চাইলে সেটি ম্যানুয়ালি চালু করতে পারবেন।
রিকল–সুবিধা অকার্যকর করতে ব্রেভ ও সিগন্যাল ভিন্ন দুটি কৌশল গ্রহণ করেছে। সিগন্যাল ‘ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট’ বা ডিআরএম ফ্ল্যাগ ব্যবহার করে রিকলসহ যেকোনো স্ক্রিনশট ও অ্যাক্সেসিবিলিটি টুলকে অ্যাপের কনটেন্টে প্রবেশ থেকে বিরত রাখছে। অন্যদিকে ব্রেভ অ্যাক্সেসিবিলিটি ও স্ক্রিনশট চালু রেখেই রিকলকে আলাদাভাবে নিষ্ক্রিয় করেছে।
রিকল–সুবিধা কয়েক সেকেন্ড পরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্দার স্ক্রিনশট নেওয়ার পাশাপাশি স্ক্রিনশটের তথ্য এআইয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ করতে পারায় এর আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, রিকল–সুবিধাটি ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে সাইবার নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলতে পারে।