বিমান চালানোর আগে হওয়ার আগে ফ্লাইট সিমুলেশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেন পাইলটরা। এর মাধ্যমে আকাশে না উড়েই বিভিন্ন আবহাওয়ায় বিমান চালানোর কৌশল শেখার পাশাপাশি আশপাশের দৃশ্য বাস্তব দুনিয়ার মতো দেখার সুযোগ থাকায় দক্ষ পাইলট হিসেবে গড়ে ওঠেন তাঁরা। এবার ফ্লাইট সিমুলেশনের আদলে মহাবিশ্বের বিশাল সিমুলেশন তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে মহাবিশ্বের বৃহত্তম সিমুলেশনটি উন্মুক্ত করেছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির ইউক্লিড স্পেস টেলিস্কোপ পরিচালনা করা ইউক্লিড কনসোর্টিয়াম।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ফ্ল্যাগশিপ ২ নামের এই সিমুলেশনে ৩৪০ কোটি গ্যালাক্সির ছবি রয়েছে। সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জোয়াকিম স্টাডেলের নকশা করা অ্যালগরিদমের ওপর ভিত্তি করে তৈরি সিমুলেশনটি এরই মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার পিজ ডেনটের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়েছে। সুপার কম্পিউটারটির মোট ক্ষমতার ৮০ শতাংশেরও বেশি ব্যবহার করেছে সিমুলেশনটি।
বিজ্ঞানী জুলিয়ান অ্যাডামেক লেন জানিয়েছে, ইউক্লিড স্পেস টেলিস্কোপ ২০২৩ সাল থেকে মহাবিশ্ব জুড়ে শত শত কোটি গ্যালাক্সির খোঁজ করছে। ডার্ক এনার্জি ও ডার্ক ম্যাটার নিয়েও গবেষণা করছে। ফ্ল্যাগশিপ ২ মক সিমুলেশনটি স্ট্যান্ডার্ড কসমোলজিক্যাল মডেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করায় মহাবিশ্বের গঠন ও বিবর্তন সম্পর্কে বেশ ভালো ফলাফল জানা যাচ্ছে। গবেষকেরা সিমুলেশনটির মাধ্যমে অপ্রত্যাশিত কিছু আবিষ্কারের জন্য বেশ উৎসাহী।
ইউক্লিড এখন পর্যন্ত তৈরি করা মহাজগতের সবচেয়ে বিস্তারিত মানচিত্র। এটি নির্ভুলতার দিক থেকেও সেরা। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী অ্যাডামেক বলেন, সিমুলেশনটি ইউক্লিডের তথ্যের বিপরীতে কত দিন টিকে থাকে তা পর্যবেক্ষণ করছি আমরা। এই সিমুলেশনটি ডার্ক এনার্জির প্রকৃতি সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য জানতে সাহায্য করতে পারে।