কচি-কাঁচাদের খালাম্মা কবি সুফিয়া কামাল, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই ও খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে উৎসর্গ করে সম্মাননা প্রদান করা হয় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মুহাম্মদ কলিম উল্লাহ মিয়াকে। শনিবার (২৭ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে (মরণোত্তর) এ সম্মাননা দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও নবীন কচি-কাঁচার মেলার উপদেষ্টা মো. নূরুল আমিন। প্রধান অতিথির হাত থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন মরহুমের দ্বিতীয় সন্তান সাংবাদিক ফারুক আহম্মদ।
নবীন কচি-কাঁচার মেলার আহবায়ক সানজিদা নবী আদ্রিতা’র সভাপতিত্বে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও নবীন কচি-কাঁচার মেলার উপদেষ্টা মো. নূরুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার সভাপতি ড. রওশানা আর ফিরোজ ও সহসভাপতি আল্পনা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও নবীন কচি-কাঁচার মেলার উপদেষ্টা মো. নূরুল আমিন বলেন, ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির সমৃদ্ধভূমি চাঁদপুর। হাজার বছরে অসংখ্য মানুষের কর্মে-শ্রমে-ঘামে গড়ে উঠেছে এ সুবর্ণ-অঞ্চল। বাঙালির শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতে এই মাটির সন্তানদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সংস্কৃতিকর্মীরা সম্পৃক্ত। সংস্কৃতির প্রথম প্রধান উপকরণ ভাষা। ভাষার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে সুসংগঠিত করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা ও বর্তমান সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃতি বান্ধব।
সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি সরকার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুণীজনদেরকেও সম্মাননা জানানোর সংস্কৃতি চালু করেছে। তিনি আরো বলেন, গুণীজনদের সম্মাননা জানানো তাদের কাজের মূল্যায়নের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকেও অনুপ্রেরণা যোগাবে যা চাঁদপুরের শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশকে আরো বেগবান করবে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নতুন প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সংস্কৃতিকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।
এর আগে, কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও ফরিদগঞ্জ নবীন কচি-কাঁচা মেলার আয়োজনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।