হেল্থ ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: একদিকে মরণঘাতী করোনাভাইরাস, অন্যদিকে ফ্লু সিজন মিলিয়ে শীত ঋতুতে ‘টুইনডেমিক সিচুয়েশন’ আতঙ্কের প্রভাব ফেলতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা ভাইরাসের থাবায় কাহিল যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো বিশ্বের জনজীবন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপে গ্রীষ্ম বিদায় নিয়ে আসছে শীত। এই সময়টা ‘ফ্লু সিজন’ নামে পরিচিত।
মঙ্গলবার ২২ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় ৩ কোটি মানুষ যখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, তখনই আরেকটি খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার পথে। তা হলো সিজনাল ফ্লু। এই সংকট মোকাবিলায় টিকা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঠেকাতে ফ্লু’র ভ্যাকসিন কাজে না দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই টিকা শুধু ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ ঠেকাবে।
চিকিৎসকদের মতে, কোভিড-১৯ এবং ফ্লু-এর উপসর্গ প্রায় একই রকম। রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখে কী হয়েছে তা বলা বেশ কঠিন হয়ে উঠবে।
সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ মানুষ বলতে পারছে না মানুষ কোন রোগে ভুগছেন বা আক্রান্ত হলেন। দুই রোগেরই সাধারণ উপসর্গ হল জ্বর, সর্দিকাশি, প্রবল ঠান্ডা লাগা এবং শ্বাস নিতে কষ্ট। তবে কোভিডে গন্ধ-স্বাদের মতো অনুভূতি চলে যায়। কিন্তু সকলেরই যে স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে তেমনটা নয়।
আবার ফ্লু-তেও অনেক সময় ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায়, জিভের স্বাদ চলে যায়। সুতরাং করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত রোগ নির্ণয় জটিল।
আবার ফ্লু এবং কোভিড-১৯, দুই রোগ এক সঙ্গে হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞেরা।
অবশ্য করোনার থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা মোকাবিলা তুলনামূলক সহজ। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সংক্রমিত হলে কোভিডের তুলনায় দ্রুত উপসর্গ দেখা দেয়- এক থেকে চার দিনের মধ্যেই। রোগ দ্রুত ধরা পড়লে, দ্রুত চিকিৎসা সম্ভব। তাছাড়া, উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে পর্যন্ত কোনও ফ্লু-রোগীর থেকে অন্য কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। তারপরে আর সংক্রমণ ঘটে না।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপেই নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই সামনের শীতে এই সমস্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে।