মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা অঞ্চলে। এর প্রভাবে এবার সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE), ইরাক, জর্ডান ও সৌদি আরবসহ একাধিক দেশের আকাশসীমা বন্ধ হয়ে গেছে।
বিশেষত ১৩ জুন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। এরপর ইরান পাল্টা হামলায় কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
এরপর কাতার আকস্মিকভাবে আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে দুবাই ও দোহার বিমানবন্দরে শত শত ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায় এবং যাত্রীদের ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হয়।
আকাশপথ বন্ধ ও ফ্লাইট বাতিল
ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমিরেটস, লুফথানসা, এয়ার ফ্রান্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সসহ শীর্ষস্থানীয় বিমানসংস্থাগুলো দুবাই ও দোহার ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
ভ্রমণবিমার জটিলতা
ভ্রমণ বাতিল হওয়ায় যাত্রীরা বিমা সংক্রান্ত নানা জটিলতায় পড়েছেন। অনেক বিমা কোম্পানি যুদ্ধাবস্থায় ভ্রমণকারীদের কভারেজ বাতিল করে দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) আইন অনুযায়ী ১৪ দিনের মধ্যে বাতিল হলে কিছু ক্ষতিপূরণ পাওয়ার নিয়ম থাকলেও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তা প্রযোজ্য নাও হতে পারে।
উদ্ধার ফ্লাইট ও ইউরোপীয় সহায়তা
ইসরায়েলের এল আল এয়ারলাইনস ‘রিকভারি ফ্লাইট’ চালু করেছে, যাতে আটকে পড়া যাত্রীরা দেশে ফিরতে পারেন। ইউরোপীয় দেশগুলোও জর্ডান হয়ে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
ভবিষ্যৎ ভ্রমণ সতর্কতা
যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্সসহ বহু দেশ ইরান ও ইসরায়েলে ভ্রমণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এসব এলাকায় যারা এখনো যেতে চান, তাদের ভ্রমণবিমা কার্যকর না-ও থাকতে পারে এবং বিপদে দূতাবাসের সহায়তাও সীমিত হতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে আকাশপথে যাত্রী চলাচলে ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। ফ্লাইট বাতিল, যাত্রী আটকে পড়া এবং বিমা জটিলতায় পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। যাত্রীদের প্রতি পরামর্শ—সতর্ক থাকুন, সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করুন এবং বিমার শর্তাদি ভালোভাবে জেনে ভ্রমণ করুন।