যুদ্ধজাহাজ ও উড়োজাহাজ ভর্তি করে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মী পাঠিয়েছে ভারত। চীন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড থেকেও এসেছে সহায়তা।
গত শুক্রবার ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। বাড়িঘর, মসজিদ, প্যাগোডাসহ বহু ভবন ধসে পড়েছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকার এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে ১ হাজার ৬০০–এর বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩ হাজার ৪০০ মানুষ।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) অনুমান অনুযায়ী, মিয়ানমারে যে মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, তাতে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার হতে পারে। আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যেতে পারে দেশটির বার্ষিক বাজেটকে।
গত কয়েক বছরের মধ্যে শুক্রবারের ভূমিকম্পই ছিল মিয়ানমারে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ভূমিকম্পে বহু অবকাঠামো ধসে গেছে। যার মধ্যে বিমানবন্দর, মহাসড়ক ও সেতু রয়েছে। ভূমিকম্পের পর সেখানে উদ্ধার অভিযান খুবই ধীরগতিতে চলছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
প্রতিবেশী দেশের দুঃসময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত, চীন ও থাইল্যান্ড। এই তিন দেশে মিয়ানমারে ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও রাশিয়া থেকেও ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার ভারতের সামরিক উড়োজাহাজ একাধিকবার মিয়ানমারে গেছে। নৌপথেও ভারত থেকে ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মীদের নেপিডোতে পাঠানো হয়েছে।
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সাগাইং অঞ্চলের মান্দালয় শহরে। রাজধানী নেপিডোতেও ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মান্দালয়ে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করবে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। ভারতীর নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ ত্রাণ নিয়ে মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের পথে রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর।
উদ্ধারকাজ করতে চীন থেকে একাধিক দল মিয়ানমারে পৌঁছেছে। মিয়ানমারে চীনের দূতাবাস থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া সিঙ্গাপুর থেকে আসা ৭৮ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল আজ রোববার মান্দালয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। ওই দলে উদ্ধারকারী কুকুরও আছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।