আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় একটাই। ২০০৭ বিশ্বকাপে পোর্ট অফ স্পেনের ওই জয়ের পর থেকে বাংলাদেশ যতবার মুখোমুখি হয়েছে ভারতের, হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষেও ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে নর্দাম্পটনের ওই জয়ের পর থেকে জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
তবে সে গেরো এবার খুলতে পারে। এমনটাই বিশ্বাস সাবেক জাতীয় পেসার তালহা জুবায়েরের। গতকাল শনিবার তিনি মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যখনই আমরা ভারতের বিপক্ষে খেলি, বড় প্রত্যাশা থাকে। বহুবার জয়ের খুব কাছে গিয়েও শেষ করতে পারিনি। আমি আশাবাদী, এবার সেই সুযোগ আসবে এবং পাকিস্তানকেও হারানো সম্ভব।’
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া আট দলের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ আছে ‘এ’ গ্রুপে। স্বাগতিক পাকিস্তান, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের গ্রুপসঙ্গী।
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর থেকে বাংলাদেশ বহুবার লড়াই করে কাছাকাছি গিয়েছে, তবে শেষ হাসি হাসতে পারেনি। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে দুই রান দরকার থাকতে শেষ তিন বলে উইকেট হারিয়ে এক রানে হেরে গিয়েছিল টাইগাররা। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পাঁচ রানে হেরে গিয়েছিল বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের বিপক্ষে আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের জয় কেবল একবার, ১৯৯৯ বিশ্বকাপে। তবে গত বছর আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিও সেই রাওয়ালপিন্ডিতেই হবে, তাই এই অভিজ্ঞতাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তালহা।
বাংলাদেশ দলের বর্তমান বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করা তালহা মনে করেন, বড় টুর্নামেন্টে সাফল্যের জন্য বোলিং পার্টনারশিপ গুরুত্বপূর্ণ। তার কথা, ‘বোলিংয়ে একসঙ্গে কাজ করা খুব জরুরি… উইকেট না পেলেও রান না দিয়ে চাপ ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশ শেষ অনেক দিন ধরে ওয়ানডে খেলেনি। সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। ফরম্যাট বদলালে খেলার ধরন বদলানোর চ্যালেঞ্জও চলে আসে। তালহা জানালেন, সে বিষয়টা নিয়েও কাজ করেছে বাংলাদেশ দল। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি থেকে ওয়ানডেতে রূপান্তরের একটা মানসিকতা পরিবর্তন দরকার হয়। আমরা সে বিষয়েও কাজ করেছি।’
বাংলাদেশ ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন শুরু করবে। ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে পাকিস্তান শাহিন্সের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।