বাজার নিয়ন্ত্রণে বিদেশ থেকে ডিম আমদানির কথা জানিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সেই মোতাবেক ভারত থেকে ৪ কোটি ডিম বাজারে আসছে শিগগিরই। দেশের চারটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ডিম বাজারে ঢুকলে ডিমের বাজারের অস্থিরতা দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রোববার দেশের চারটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ে ডিম আমদানির পর বাজার স্থিতিশীল আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে সরকার। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানা গেছে।
মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স এনবড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং, অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেডকে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ডিম আমদানির জন্য পাঁচটি শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। সরকারের অন্য বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল কলকাতায় এক হালি মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ২৬ রুপিতে (৩৪.২৯ টাকা)। প্রতি পিসে যার দাম আসে সাড়ে আট টাকা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় আমিষের দাম বাড়ার মধ্যে খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।