ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, এইউজে
ডনিউজ২৪: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে ভারত। দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভে বিভিন্ন রাজ্যে এ পর্যন্ত ২৩ জন নিহত হয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের পুলিশের মুখপাত্র প্রবীণ কুমার বলেন, শনিবার পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগ তরুণ ছিলেন। তবে এজন্য পুলিশ দায়ী নয়।
নিহতের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়ে তিনি দাবি করেন, পুলিশ কোথাও বিক্ষোভকারীদের ওপর একটি গুলিও চালায়নি। বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখাতে পুলিশ কেবল টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
তিনি আরও বলেন, উত্তর প্রদেশের রামপুর, সম্ভাল, মুজাফফরনগর, বিজনোর ও কানপুরে বিক্ষোভকারীরা প্রায় এক ডজন গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমনকি সেখানে একটি পুলিশ স্টেশনেও তারা অগ্নিসংযোগ করে।
উল্লেখ্য, নতুন নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যারা ভারতে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন তারা যদি দেখাতে পারেন যে ধর্মের কারণে নিজ দেশে নির্যাতিত হয়েছেন তবে তারা সে দেশের নাগরিক হতে পারবেন। তবে এ আইনটি মুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য হবে না।
সমালোচকরা এটিকে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। তারা এটিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকারের ভারতের ২০ কোটি মুসলমানকে বিতাড়িত করার একটি চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন। তবে, মোদি আইনটিকে মানবিক হিসেবে ইঙ্গিত করেছেন। ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়ন নরেন্দ্র মোদির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।