ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, আজনিউজ২৪: ভারতে কৃষকদের প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্র্যাক্টর সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ২০০ জনকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। এই সহিংসতায় তিন শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছে। যাদের বেশির ভাগ মুকারবা চৌকো, গাজীপুর, আইটিও, সীমাপুরী, নাঙ্গলাই টি-পয়েন্ট, টিকরি সীমান্ত এবং লাল কেল্লার আশপাশে অবস্থান করছিলেন। গাজীপুর, টিকরি ও সিংহু সীমান্তের ব্যারিকেড কৃষকরা ভেঙে ফেলেছে বলে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে। এ বিক্ষোভে সংঘর্ষের জেরে ২২টি মামলা করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবারের সংঘর্ষে আটটি বাস এবং ১৭টি ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিক্ষেভকারীরা। এ সময় এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
দেশটির পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিল্লি, হরিয়ানাসহ আশপাশের রাজ্যগুলোতে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট ও এসএমএস সেবা। নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিল্লিতে আধাসামরিক বাহিনীর ১৫টি কম্পানি মোতায়েন করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সিংঘু সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলের জেরে সকাল থেকেই পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
জানা যায়, তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেন কৃষকরা।
প্রজাতন্ত্র দিবসে এই বিক্ষোভ করছেন তারা। কথা ছিল স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার পর শুরু হবে ট্রাক্টর শোডাউন। কিন্তু সকাল সাড়ে ৮টার দিকেই সিংঘু সীমান্তে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন কৃষকরা। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লিতে ঢুকতে শুরু করেন তারা। হাজার হাজার কৃষক ট্রাক্টর নিয়ে সকাল থেকেই মিছিল শুরু করে দেন।
ট্রাক্টর র্যালি ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে কৃষকদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাসও নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় যারা জড়িত ছিলেন, তারা প্রকৃত কৃষক নয় বলে মন্তব্য করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।
সূত্র : এনডিটিভি।