ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: আজ নতুন আরো এক লাখ ৪১ হাজার ৯৮৬ জন করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে ভারতে। গত বছরের মে মাসের শেষের দিকের পর এটাই ভারতের সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চসংখ্যক সংক্রমণ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংক্রমণের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন আর ডেল্টা―চেষ্টা করে যাচ্ছে কে কাকে কোন শহরে অতিক্রম করে যাবে।
শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো ২৮৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে ভারতে এ পর্যন্ত চার লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৩ জনের মৃত্যু হলো। আর আক্রান্ত হয়েছে প্রায় তিন কোটি ৫৪ লাখ মানুষ।
ভারতে করোনা সংক্রমণের এমন ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি দ্রুত সংক্রমণশীল ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের কারণেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় ও রাজ্যগুলো দ্রুত ও কার্যকর বিধি-নিষেধ আরোপের জোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। রাতের কারফিউ ফিরে এসেছে দেশে। রেস্তোরাঁ ও বারগুলো তাদের ধারণক্ষমতা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। কিছু রাজ্য স্কুল এবং সিনেমা হল বন্ধ করে দিয়েছে। বড় সমাবেশগুলো আর হচ্ছে না, সংক্ষিপ্ত ও ছোট করা হয়েছে।
তবে ভারতে রাজ্য নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক নেতারা প্রচারে ব্যস্ত। বড় বড় সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন তাঁরা, সমাবেশে আগত অনেকের মুখে মাস্ক নেই।
দৃশ্যগুলো পরিচিত। গত বছরও এমনই হয়েছিল। আর তখনই ভারতে ভয়াবহ আঘাত হানে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্ট। লণ্ডভণ্ড করে দেয় পুরো দেশ। এবং ভারতকে করে তোলে করোনায় বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি।