ভলিবল রেফারি প্রশিক্ষণ কোর্স–২০২৫-এর ফলাফলে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন। প্রশিক্ষণে সর্বোচ্চ ২৫০ নম্বর পেয়ে শীর্ষস্থান অর্জন করেন।
তিনি ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের চৌবাড়ীয়া মাষ্টার পাড়া মহল্লার আলহাজ্ব শেখ আব্দুস সামাদ মাষ্টারের তৃতীয় পুত্র।
সম্প্রতি ভলিবল রেফারি প্রশিক্ষণ কোর্সের ফল প্রকাশ করে বাংলাদেশ ভলিবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশন। ভলিবল রেফারি প্রশিক্ষণ কোর্সের কোর্স প্রশিক্ষক আন্তর্জাতিক ভলিবল রেফারি হুমায়ূন মোর্শেদ এবং কোর্স পরিচালক জাতীয় ভলিবল রেফারি মো. শহীদুল ইসলাম সাক্ষরিত এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
জানা যায়, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, ঢাকার আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত পাঁচ দিনব্যাপী ভলিবল রেফারি প্রশিক্ষণ কোর্স–২০২৫ সফলভাবে সম্পন্ন হয়। গত ২৪ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, ঢাকায় এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
তীব্র এ প্রতিযোগিতায় ১৪১ জনের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, ঢাকার ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন (বিপিএড) ২০২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ সাখাওয়াত হোসেন।
সাখাওয়াত হোসেন একজন বহুমাত্রিক ও বহু গুণে গুণান্বিত মানুষ। কোনো একক পরিচয়ে তাঁকে সীমাবদ্ধ করা সম্ভব নয়। সাখাওয়াত হোসেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির ক্রীড়া সাংবাদিক, ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক, স্বনামধন্য ধারাভাষ্যকার ও উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা জানান, ভাঙ্গুড়া উপজেলার ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত মুখ, নিবেদিতপ্রাণ ও ভলিবল খেলোয়াড় সাখাওয়াত হোসেন স্থানীয় ক্রীড়া কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। খেলা পরিচালনায় রেফারির ভূমিকা অসামান্য। একজন দক্ষ রেফারি যেকোনো ম্যাচকে সুন্দর ও সাবলীল করে তুলতে পারেন। দক্ষ হতে খেলা পরিচালনার মাধ্যমে উপজেলার সুনাম বয়ে আনার প্রত্যাশা করেছেন তাঁরা।
শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপজেলার শরৎনগর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল হামিদ স্যারের অনুপ্রেরণাতেই আজ তিনি পেশাদার রেফারি হিসেবে বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত হলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণ কোর্সে এতো বেশি প্রত্যাশা ছিল না। তারপরও প্রথম স্থান অধিকার হওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। আমার ফলাফলের পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে আমার কলেজের সম্মানিত প্রভাষক ও সহকর্মীবৃন্দ। ভলিবল রেফারিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে সবার দোয়া ও ভালোবাসা চেয়েছেন তিনি।