নতুন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী ভর্তুকিতে বছরে কমপক্ষে দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি ডলার বা দুই লাখ কোটি পাউন্ড ব্যয় করা হয়। তবে আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, এই ভর্তুকির অর্থে বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ আর ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি।
বিশ্বে সরকারগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কোটি কোটি ডলারের কর অবকাশ, ভর্তুকি এবং অন্যান্য খরচ দিয়ে থাকে যা সরাসরি ২০১৫ প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং ২০২২ কুনমিং-মন্ট্রিল চুক্তিতে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি বন্ধ করার লক্ষ্যমাত্রার বিরুদ্ধে কাজ করছে।
গবেষণা সংস্থা আর্থ ট্র্যাকের বিশ্লেষণে এমন সব তথ্য উঠে এসেছে। দেশগুলোর সরকার বন উজাড়, পানি দূষণ এবং জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকি দিয়ে সরাসরি পরিবেশ ধ্বংসে সহায়তা করছে।
উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়, মাছ ধরার বড় জাহাজগুলোর জন্য রাষ্ট্রীয় সহায়তা/ ভর্তুকি যা অতিরিক্ত মাছ ধরার জন্য দায়ী। সরকারি নীতিমালা যেমন পেট্রোলসহ বিভিন্ন জ্বালানি তেল, রাসায়নিক সার এবং একজাতীয় ফসল উৎপাদনে বিশেষ ভর্তুকি সরাসরি পরিবেশ ধ্বংসের জন্য দায়ী।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কাজে এমন ভর্তুকি ২০২২ সালে বেড়েছে ৮০ হাজার কোটি ডলার। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জীবাশ্ম জ্বালানি ভর্তুকি তীব্রভাবে বেড়ে গেছে।
ক্রিশ্চিয়ানা ফিগারেস, যিনি প্যারিস চুক্তি আলোচনার সময় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে প্রধান ছিলেন, তিনি বলেন, ‘পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক এমন খাতে বিপুল অঙ্কের ভর্তুকি পরোক্ষভাবে মানবজাতি তথা পরিবেশের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি এবং গোটা বিশ্বে ভয়াবহ সমস্যা সৃষ্টি করছে। সরকারগুলোকে জরুরিভিত্তিতে পরিবেশ ও প্রকৃতির জন্য সহায়ক এমন নীতিমালা সমন্বিতভাবে নেয়া উচিত।’
ক্রিশ্চিয়ানা ফিগারেস আরও বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মহাপরিকল্পনা বিষয়ক চুক্তি সইয়ের দুই বছর পরেও আমরা আমাদের নিজস্ব অস্তিত্ব তথা পরিবেশ ধ্বংসে অর্থায়ন চালিয়ে যাচ্ছি। এতে করে মানুষজাতি এবং আমাদের অস্তিত্ব বিশাল ঝুঁকির মধ্যে পরে যাচ্ছে।’ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।