ব্রাজিলের সাও পাওলোতে বিমান বিধ্বস্তে নিহত ৬২ জনের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। নিহতদের নাম পরিচয় সনাক্তে কাজ করছে উদ্ধারকর্মীরা। দুই ইঞ্জিনের বিমানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল ভোপাস এয়ারলাইন্স। এটি ভিনহেদো শহরে বিধ্বস্ত হয়। খবর বিবিসি
শুরুতে যাত্রী সংখ্যা বলা হয় ৬১ জন। পরে গতকাল শনিবার এ সংখ্যা সংশোধন করে বলা হয় বিমানটিতে ৬২ জন যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে কেউ বেঁচে নেই। ভোপাস এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, এটিআর ৭২-৫০০ মডেলের বিমানটিতে ৫৮ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু ছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে আকাশে কয়েকবার ঘুরছিল। পরে এটি মাটিতে বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।
বিমানটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হলেও বাসিন্দারের কেউ মারা যায়নি। কর্তৃপক্ষ জানিয়ে বিমানটি বিধ্বস্তের কারণে একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সাও পাওলো রাজ্য জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ এবং ২৮ জন নারী। তাদের ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ এসব লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পরই এসব লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সাও পাওলো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানে থাকা ক্যাপ্টেন এবং ফাস্ট অফিসারের মরদেহ সনাক্ত হয়েছে। এছাড়া বাকী মরদেহ শনাক্তের জন্য তাদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা হোটেলে থাকবেন। ইতোমধ্যে ৩৮টি পরিবার এসেছে।
ব্রাজিলের ফায়ার বিভাগের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন মেকন ক্রিস্টো বলেন, বিমান বিধ্বস্তে নিহতের পরিচয় সনাক্তে কাজ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে অনেকের মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে। এছাড়া নিহতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
এর আগে ব্রাজিলে ২০০৭ সালে বিমান দুর্ঘটনায় ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়।