ফুটবলারদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মর্যাদার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। ট্রফিটি পাওয়া যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্যই সম্মানজনক। গত দেড় যুগ ধরে ট্রফিটি নিজেদের করে নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
বিশেষ ট্রফিটি রেকর্ড আটবার নিজের ঝুলিতে পুরেছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তারপরেই রয়েছেন পর্তুগিজ অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এ দুজনে মিলে নিজেদের শোকেসে জমা করেছেন ১৩টি ট্রফি। এখন তাদের বয়স হয়ে গেছে, তারা রয়েছেন ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে। ইতোমধ্যে এ দু’জন ইউরোপকে বিদায়ও জানিয়েছেন। একজন মাতাচ্ছেন সৌদি প্রো লিগ, আরেকজন মাতাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস।
সম্প্রতি শেষ হয়েছে কোপা-ইউরো টুর্নামেন্ট। ইউরোপ ও লাতিনের বড় দুটি টুর্নামেন্ট শেষে ২০২৪ ব্যালন ডি’অরের হিসেবনিকেশে এসেছে বড় পরিবর্তন। কোপার শিরোপা জেতা লিওনেল মেসি গোল ডটকমের নির্বাচিত তালিকায় থাকলেও খুব বেশি সুবিধাজনক অবস্থা নেই। এবারের ব্যালন ডি’অরে বেশ ভূমিকা রেখেছে ইউরো। হ্যারি কেইন-জুড বেলিংহ্যামের স্বপ্ন ভেঙে নায়ক বনেছেন স্পেনের রদ্রি। এছাড়া দানি ওলমো ও লামিনে ইয়ামালও আছেন ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে।
এদিকে সম্প্রতি ব্যালন ডি’অর প্রত্যাশী ৩০ জনের নাম প্রকাশ করেছে ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকী। যেখানেই নেই লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এবারের ট্রফির জন্য ফেভারিট মনে করা হচ্ছে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও জুড বেলিংহ্যামকে। প্রত্যাশিতভাবেই ৩০ জনের তালিকায় রয়েছে তারা। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে আরও আছেন ফেদেরিকো ভালভার্দে, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, আরলিং হালান্ড, টনি ক্রুস, লামিন ইয়ামাল, হ্যারি কেন, দানি কারভাহাল, কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। খবর গোলডটকম
ভিনিসিয়ুস, জুড বেলিংহ্যাম, টনি ক্রুসরা গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। এরপর স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপাও ঘরে তুলেছেন তারা। ভিনি ব্রাজিলের হয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যান, বেলিংহ্যামের ইংল্যান্ড হয় ইউরোর রানার্সআপ। ইউরোর শিরোপা জিতে কারভাহালের স্পেন।
এদিকে চলতি বছর আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন লিওনেল মেসি। যার ফলে অনেকে ধারণা করেছিলেন ব্যালন ডি’অরের তালিকায় থাকতে পারেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাদ পড়লেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এর মধ্যদিয়ে প্রায় দুই দশক পর ছেদ পড়ল মেসি-রোনালদো যুগলের রাজত্বে। রোনালদো গত বছরই ৩০ জনের তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে মাঝের প্রত্যেকটি বছর দুজনের কেউ না কেউ ৩০ জনের তালিকায় জায়গা করে নিতেন।