ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ৩৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ৫০ হাজার ২৩৬ জনে দাঁড়াল। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার। আর এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকা।
যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে করোনায় মারা গেছের ১ লাখ ৯১ হাজার ৫৫ জন। এছাড়া শনাক্ত হয়েছেন ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩৯১ জন। এরমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই শনাক্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪২ জন। সেখানে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের এ সংখ্যা বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে অনেক বেশি। দেশটিতে মোট মৃত্যু ৫০ হাজার ২৩৬ জনে দাঁড়াল।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরে অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৫৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৩ জন। মৃত্যুর হিসাবে ইতালির পরের অবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এ দেশটি। মোট আক্রান্ত ২ লাখ ১৩ হাজার ২৪ জন। মৃত্যুর তালিকার চার নম্বরে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ৮৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৮৩ জন।
ফ্রান্সের পরের অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮ জন। এদিকে জার্মানিতে ১ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৫৭৫ জনের। ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৭৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩২ জন। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ হাজার ২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৪৮১ জন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৮৬ জনের। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১২৭ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০৮ জন। গত বছরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে ভাইরাসটি এখন পর্যন্ত ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছ পড়েছে। ভাইরাসটির এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক বের না হওয়াই আরও প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।