ঈদুল আজহা উপলক্ষে বৈশাখী টেলিভিশনের আয়োজনে থাকছে মোট ২৭ নাটক, ৭টি সিনেমা, জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান, ঈদ ম্যাগাজিন এবং বিশেষ কমেডি শো ‘ফানি মোমেন্ট’সহ নানা আয়োজন।
বিশেষ সংগীতানুষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঈদের ৭ দিন সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে প্রচার হবে ‘বৈশাখীর সকালের গান’। লিটু সোলায়মানের প্রযোজনায় অংশ নেবেন চম্পা বনিক, কানিজ খাদিজা তিন্নি, হৈমন্তী রক্ষিত, মারোফা জান্নাত তৃষা, কানিজ খন্দকার মিতু, রিফাত চৌধুরী লিজা ও নুজহাত পুস্পিতা।
ঈদের ৭ দিন বেলা ১১টায় প্রচার হবে বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান ‘গানে গানে ঈদ আনন্দ’। লিটু সোলায়মানের প্রযোজনায় এ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন কণ্ঠশিল্পী মনির খান, সালমা, নাসির, অনুপমা মুক্তি, কর্ণিয়া, কামরুজ্জামান রাব্বী, ইসরাত জাহান জুঁই, আতিয়া আনিসা, অয়ন চাকলাদার, খায়রুল ওয়াসী ও লিটা সরকার। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন তাসনুভা মোহনা, তাবাসসুম প্রিয়াংকা, তমা রসিদ ও আসিন জাহান।
নিকোলাস হীরার প্রযোজনায় এবং আসিন জাহানের উপস্থাপনায় ঈদের ৭ দিন দুপুর ১টায় প্রচার হবে ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় গান নিয়ে অনুষ্ঠান ‘শুধু সিনেমার গান’।
ঈদের দিন দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে বৈশাখী টিভিতে প্রচারিত বিভিন্ন নাটকের হাস্যরস ও ফান নিয়ে অনুষ্ঠান কমেডি শো: ‘ফানি মোমেন্ট’। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে রয়েছে বিভিন্ন নাটকে ব্যবহৃত গান নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘নাটকের গান’। নাটকের গান ও ফানি মোমেন্ট অনুষ্ঠান দুটি প্রযোজনা করেছেন নিকোলাস হীরা।
এইচ এম বরকতউল্লাহর উপস্থাপনা ও পরিচালনায় ঈদের ৭ দিন বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে প্রচার হবে ঈদ ম্যাগাজিন ‘অন্যরকম ঈদ আনন্দ।
ঈদের ৭ম দিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে প্রচার হবে ৭টি সিনেমা। ৬টি সিনেমাই পরিচালনা করেছেন এফআই মানিক। সিনেমাগুলো হলো- দাদিমা, পিতা মাতার আমানত, পিতার আসন, সৌভাগ্য, যদি বউ সাজগো ও দুই বধূ এক স্বামী। অপর ছবি কমল সরকারের পরিচালনায় পাগলামি।
২৬টি নাটকের মধ্যে ১৬টি একক, ৭ পর্বের ৪টি ধারাবাহিক এবং ৭টি মেগা নাটক। ঈদের আগের দিন রাত ১০টায় প্রচার হবে নাজমুল রনির রচনা ও পরিচালনা ঘরের শত্র ‘ঘর জামাই’। এতে অভিনয় করেছেন- জাহের আলভী, শ্রেওশী শ্রেহা, আবদুল্লাহ রানা, অর্পিতা, তানজিন জাহান স্বপ্না প্রমুখ। ঈদের দিন সকাল ১০টায় প্রচার হবে লিটু সোলায়মানের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় শিশুদের জন্য নির্মিত পাপেট নাটক গল্পের দেশে; রংধনু পর্ব।
অন্য একক নাটকগুলো প্রচার হবে প্রতিদিন রাত ৮টা ১০ মিনিটে এবং ৯টা ৫৫ মিনিটে। নাটকগুলো হলো- মহিন খানের পরিচালনায় ‘ঘর ছাড়া’, পথিক সাধনের পরিচালনায় ‘কাস্টিং আউচ’, অঞ্জন করিমের পরিচালনায় ‘চাপাবাজ ফ্যামিলি’, হামেদ হাসান নোমানের পরিচালনায় ‘আমার ভাঙ্গা গাড়িতে’, নাজমূল রনির পরিচালনায় ‘দশ মা’র এক পুত’, শাহ নেওয়াজ রিপনের পরিচালনায় ‘জুয়াড়ী’, জুবায়ের বিন বকরের পরিচালনায় ‘অল্প সল্প প্রেমের গল্প’, জিয়াউদ্দিন আলমের পরিচালনায় ‘কেনা জামাই’, নাজমুল রনির পরিচালনায় ‘বিয়ে করে প্যারায় আছি’, এল আর সোহেলের পরিচালনায় ‘পাষাণী’, চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় ‘তরী আমার হঠাৎ ডুবে যায়’, ফাহিম হাসান মনিরের পরিচালনায় ‘না বলা কথা’, সোহেল রানা ইমনের পরিচালনায় ‘এই শহরে মেঘেরা একা’, তারিক মুহাম্মদ হাসানের পরিচালনায় ‘বউ হতে চাই’।
ঈদের ধারাবাহিকের মধ্যে সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে প্রচার হবে সজীব মাহমুদের পরিচালনায় ‘ঘরজামাইদের বাড়ি’, আদিত্য জনির পরিচালনায় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ‘জোকার জলিল’, আল হাজেনের পরিচালনায় রাত ৭টা ৩০ মিনিটে ‘জার্নি টু লন্ডন’, ফরিদুল হাসানের পরিচালনায় রাত ৯টা ২০ মিনিটে ‘উভয় সংকট’।
ঈদ অনুষ্ঠানমালায় প্রতিদিন রাত ১১টা ৪০ মিনিট প্রচার হবে ৭টি মেগা নাটক। নাটকগুলো হলো- ‘বিউটি এখন নায়িকা’, ‘বিবাহ অভিযান’, ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘বাপকা বেটা’, ‘ক্ষমা করে দিও’, ‘ট্রাক ড্রাইভার’ ও ‘সোনাভান’। নাটক ৭টি পরিচালনা করেছেন, আশরাফী মিঠু, হাসান জাহাঙ্গীর, এস আই সোহেল, হানিফ খান, রুহুল আমিন শিশির ও জামাল মল্লিক।
ঈদের এসব নাটকে অভিনয় করেছেন- শহীদুজ্জামান সেলিম, মোশারফ করিম, জাহিদ হাসান, রাশেদ সীমান্ত, হাসান জাহাঙ্গীর, ওমর সানী, ইরফান সাজ্জাদ, মীর সাব্বির, নিলয় আলমগীর, অহনা, নাজিয়া হক অর্ষা, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি, খায়রুল বাসার, আশনা হাবিব ভাবনা, ডা. এজাজ, ফাহানা মিলি, ফারজানা ছবি, আইনুন পুতুল,রিয়া ঘোষ, নাদের চৌধুরী, আবু হুরায়রা তানভীর, জেবা জান্নাত, রোবেনা রেজা জুঁই, মনিরা মিঠু, শামীম হাসান সরকার, তানিয়া বৃষ্টি, সাফা কবির, আবদুল্লাহ রানা, জাহের আলভী, তিথি, পার্থ শেখ, তাসনুভা তিশা, এলেন শুভ্র, সারিকা, সুস্মিতা সিনহা, মারিয়া শান্ত, প্রান্ত দস্তগির, মোহাম্মদ আশরাফুল, রুকাইয়া জাহান চমক, কাবিলা, ডন, অমিত হাসান, আরফান আহমেদসহ অনেকে।
ঈদ আয়োজন নিয়ে বলতে গিয়ে বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, বৈশাখী টেলিভিশনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে দর্শকদের বিনোদন দেওয়া। আর বিনোদনপ্রিয় মানুষকে কিছুটা বিনোদন দেওয়ার জন্যই আমাদের এ আয়োজন। কতটুকু সফল হতে পারব সে বিচারের ভার বৈশাখী টেলিভিশনের দর্শকদের, যাদের ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণায় আমাদের এগিয়ে চলা।