প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কতটা বাড়লো সেটি তাদের খেয়াল রাখতে হবে। শুধু বিদেশে রপ্তানি নয়, দেশের বাজারেও ব্যবসায়ীদের পণ্য বাজারজাত করতে হবে। রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২১-২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, এখনকার কূটনীতি হবে বাণিজ্যিক। অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোন দেশে কোন পণ্য রপ্তানি করা যায়, সেগুলোর বাজার খুঁজে বের করতে হবে ব্যবসায়ীদেরই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কেন গার্মেন্টস সেক্টরের ওপর নির্ভর থাকবো? আমরা পণ্য যখন উৎপাদন করবো, তখন মাথায় রাখতে হবে ডিজাইন, রং ছাড়াও একেক সময় একেক জিনিসের চল আসে, সেটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের ফ্যাশন ডিজাইন পরিবর্তন করতে হবে। আমরা কোন দেশের কোন বাজারে ঢুকতে পারবো, সেটি সরকার থেকে করে দেবো।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘসময় এ দেশের মানুষের জীবনে কোনো উন্নতি হয়নি, পরিবর্তন ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের দেশের অর্থনীতিকে যথেষ্ট শক্তিশালী করতে পেরেছি।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনশক্তি তৈরি করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপযুক্ত জনশক্তি যাতে তৈরি হয় সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। যাতে আমাদের যুবসমাজ এগিয়ে আসে। বাংলাদেশকে এই যুবসমাজই এগিয়ে নিতে পারবে।