যুক্তরাষ্ট্রে ৮ ফুট ব্যাসের বিশাল আকৃতির একটি বেসবল একটার পর একটা মাঠ ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভক্ত-দর্শকেরা হইহই করে সেটি দেখতে যাচ্ছেন, বলের গায়ে নিজেদের নাম সই করছেন। এই সই করতে করতেই বলটি নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।
বিশাল বলটি তৈরি এবং সেটিতে স্বাক্ষর গ্রহণের এ উদ্যোগ মাইনর লিগ বেসবল কর্তৃপক্ষের। গত ২৪ জুন ইন্ডিয়ানাপোলিস ইন্ডিয়ানস দলের মাঠ ভিক্টরি ফিল্ড থেকে বলটি যাত্রা শুরু করে। এরপর এটি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১৫টি মাইনর লিগ মাঠে ঘুরে বেড়ায়।
বলটির শেষ গন্তব্য ছিল নিউইয়র্ক শহরে মাইনর লিগ বেসবলের মূল মাঠ (ফ্ল্যাগশিপ)। গত মঙ্গলবার বলটি সেখানে পৌঁছায়। এরপর সেখানে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একজন প্রতিনিধি বলটি পরীক্ষা করেন এবং এক এক করে গুণে দেখে নিশ্চিত করেন, এর গায়ে মোট ৬ হাজার ৭৫০টি স্বাক্ষর রয়েছে। একক কোনো ক্রীড়া স্মারকে এটিই এখন সর্বাধিক স্বাক্ষরের রেকর্ড। সেদিনই গিনেস রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে বলটির এ বিশ্ব রেকর্ড গড়ার স্বীকৃতি দেয়।
এর আগে এ রেকর্ড ছিল যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের, যাঁরা একটি বিশাল জার্সিতে ২ হাজার ১৪৬টি স্বাক্ষর নিয়েছিলেন। নতুন রেকর্ডটি সেই সংখ্যাকে অনেকটাই ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্ব রেকর্ড গড়া বলটি শুধু আকারেই বিশাল নয়, ওজনেও ভারী। সেটির ওজন প্রায় ১ হাজার ২০০ পাউন্ড। এটি বিশেষভাবে তৈরি স্বচ্ছ অ্যাক্রিলিক কেসে এক মাঠ থেকে আরেক মাঠে ভ্রমণ করেছে। উদ্দেশ্য ছিল, এটিকে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মানুষ যেন দেখতে পায় এবং আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
মাইনর লিগ বেসবলের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের পেছনে ছিল একটি চিন্তা। তাদের বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন সাটন বলেন, ‘সাধারণত খেলোয়াড়েরা বল সই করেন, এবার আমরা চেয়েছি উল্টোটা হোক। ভক্তরা সই করবে আর সেই বল ইতিহাস গড়বে।’
ছয় সপ্তাহ ধরে বলটি ২ হাজার ৬০০ মাইল পথ পাড়ি দিয়েছে। যাত্রাপথে বলটি যে ১৫টি মাঠ ঘুরেছে, সেগুলোর মধ্যে আছে ফোর্ট ওয়েইন, ডেটন, লুইসভিল, সিরাকিউজ, বাফেলো, ইরি, আলটুনাসহ আরও বেশ কয়েকটি শহরের বেসবল মাঠ। নিউইয়র্কে শেষ দিনে ৬৮৪ দর্শনার্থী বলে সই করেন। সবশেষ স্বাক্ষরটি করেন মাইনর লিগ বেসবলের কমিশনার রব ম্যানফ্রেড।