রাজধানী ডেস্ক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে কর জালের আওতায় আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ কর প্রদানে সমর্থ হলেও কর প্রদানকারীর সংখ্যা বর্তমানে মাত্র ২৫ লাখ ৪৩ হাজার। ফলে কর ফাঁকি রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণসহ তাদেরকে কর জালের আওতায় আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আগামী বাজেটে থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের রাজস্ব জিডিপির অনুপাত সম-অর্থনীতির অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। ফলে রাজস্ব জিডিপি অনুপাত বর্তমানের যৌক্তিক পর্যায়ে বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
ভ্যাকসিন কেনা ও দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, চীন ও রাশিয়ার সরকার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও ফ্রান্স-বেলজিয়াম ভিত্তিক সানোফি/জিএসকের কাছ থেকে ভ্যাকসিন কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। চীন থেকে সিনোফার্ম ও রাশিয়া থেকে স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন কেনা এবং প্রয়োজনে বাংলাদেশেই তা উৎপাদনের লক্ষ্যে আলোচনা বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। বাজেটে মোট আয় ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। ঘাটতি ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। মোট উন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। আর মোট অনুন্নয়ন ব্যয় ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
সূত্র: কালের কণ্ঠ