বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির পর তাকে দেখতে হাসপাতালে যান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান তিনি। এ সময় নির্মল হাসিতে অভিনন্দন গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এর আগে বঙ্গভবনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খালেদা জিয়ার কারামুক্তির তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটককৃতদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারত যান। এরপর দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ বিষয়ে গতকাল বিকেলে বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া হবে। এছাড়াও বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় আটক সব বন্দীকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।