স্পোর্টস ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে শুক্রবার কক্সবাজারে মুখোমুখি হয়েছে নর্থ জোন ও ইস্ট জোন।ব্যাটিংয়ে নেমে একদিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো নর্থ জোনকে যেমন টেনে তুলেছেন মুশফিকুর রহিম, ১৪০ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে।শফিকের লড়াইয়ের পর ২৭২ রানে অলআউট হয়ে গেছে নর্থরা। স্বস্তিতে নেই ইস্টও। শেষ বিকেলে ৩ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসেছে দলটি। ফিরে গেছেন ইস্টের দুই ওপেনারই। পিনাক ঘোষ ৩ রান করলেও তার উদ্বোধনী সঙ্গী মোহাম্মদ আশরাফুল রানের খাতাই খুলতে পারেননি। অন্যদিকে তেমনি একাই লড়লেন ইস্ট জোনের নাঈম হাসান, প্রতিপক্ষের দশ ব্যাটসম্যানের ৮ জনকেই সাজঘরে ফিরিয়েছেন তরুণ অফস্পিনার।
পিনাক-আশরাফুলের ব্যর্থতার আগে সারাদিন মুশফিক ও নাঈমের বীরত্বের গল্প। ওয়ানডে ঢংয়ে এগিয়ে নেয়া ইনিংসটা দারুণ এক ছক্কায় ৯৯ থেকে তিনঅঙ্কে নেন মুশফিক। পেসার হাসান মাহমুদের বল সীমানার উপর দিয়ে উড়িয়ে পৌঁছান সেঞ্চুরিতে। ১১৭ বলে আসে প্রথম শ্রেণিতে তার ১১তম শতকটি। নিজের রানের সঙ্গে ধুঁকতে থাকা নর্থকে আড়াইশ পার করে নেয়ার স্বস্তি মিলেছে মুশফিকের। দলের অর্ধেকের বেশি রান এসেছে তার ব্যাটে। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ১১৭ বলে ১৪ চার ও সেই ছক্কায় সেঞ্চুরি তুলে আরও দুটি চারে থামেন ১৪০ করে।
৩২ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান পাকিস্তান সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে কিছুদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে আছেন। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজের একমাত্র টেস্টে নামবে বাংলাদেশ। রানের অভ্যাস নিয়েই নামতে পারছেন মুশি।
মুশফিকের দিনে সমানতালে আলো কেড়েছেন ইস্টের ১৯ বছর বয়সী ডানহাতি অফস্পিনার নাঈম হাসান। প্রথম শ্রেণিতে ষষ্ঠবারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন। আগেও ইনিংসে ৮ উইকেট পেয়েছেন, এদিন ৩৫.৪ ওভার বল করে ১০৭ রানে ৮ উইকেট তার দখলে।
নাঈমের ঘূর্ণি ম্যাজিকের দিনে সাজঘর-টু-বাইশগজ আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত ছিলেন রনি তালুকদার ২৮, জুনায়েদ সিদ্দিকী ৮, তানবির হায়দার ৪, নাঈম ইসলাম ৩১, আরিফুল হক ৪, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ২৩, সালাউদ্দিন শাকিল ৩ ও সানজামুল ইসলাম ২৯ রানে, আর চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
নর্থের বাকি দুই উইকেট তুলেছেন ইস্টের পেসার হাসান মাহমুদ। যার মাঝে আছে মুশফিকের উইকেটটিও। হাসানের বলেই ছয় মেরে ৯৯ থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান মুশফিক।সূত্র : চ্যানেল আই