সেন্ট্রাল ডেস্ক: আজ (বুধবার) বিশ্ব দুধ দিবস। সুষম এই খাবার গ্রহণের প্রতি সচেতনা বাড়াতে প্রতিবছর পালন হয় দিবসটি। পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পানের পরামর্শ পুষ্টিবিদদের। সব বাবা-মা’ই চান তার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে।
দৈনিক এক গ্লাস দুধে শিশুর পুষ্টির ৬০ শতাংশ পূরণ হয়। কারণ, দুধে রয়েছে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ। সবচেয়ে বেশি আছে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম। তাই বিশ্বজুড়েই খাবারের তালিকায় এই পণ্যটি শীর্ষে থাকে।
কিন্তু, শিশুদের অনেকেরই আছে দুধ পানে অনীহা।
একজন বলেন, প্রত্যেকটা দিন দুধ খেতে ভালো লাগে না। কারণ টেস্টটা একই হয়ে যায়। আরেকজন বলেন, আমি সকাল বেলা খাই, এরপর স্কুলে যাওয়ার আগে, আবার বিকেল বেলা যখন ক্ষুধা লাগে তখন বিস্কিট দিয়ে আমি খাই।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, শিশুর দৈহিক বৃদ্ধির পাশাপাশি হাড়কে শক্ত ও মজবুত করতে কাজ করে দুধ। বাড়ায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান বলেন, আমরা যতগুলো খাবার খাই তার মধ্যে কিন্তু দুধকে আমরা বলি সুপার ফুড। আয়োডিন, জিঙ্ক, বায়োটিন থেকে ভিটামিন বি১২, বি৬। এই যে জিনিসগুলো আছে ভিটামিনগুলো এর সবই কিন্তু দুধে পাওয়া যায়। বাচ্চাদের ব্রেন ডেভেলপমেন্টের জন্য কিন্তু জিঙ্ক, আয়োডিন খুব দরকার। আমাদের চুল পড়ে যাচ্ছে, চুলের সুস্থতার জন্য কিন্তু বায়োটিনটা দরকার এবং এখানে ৯টি এমাইলো এসিড আছে যেগুলো থেকে আমাদের যে ইন্টারনাল ইমিউনিটি সেটা বৃদ্ধি করার জন্য দরকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধপান করা জরুরি।