বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিশ্বগণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে।
দেশের অন্যতম শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েটে এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এএফপি, গালফ নিউজ, ভয়েস অব আমেরিকা, আল-জাজিরা, দ্য হিন্দু, টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য সানসহ বেশ কিছু গণমাধ্যম।
দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি নিয়ে আবরার ফাহাদ প্রশ্ন তুলেছিলেন। পত্রিকাটি জানায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা জেরা করার সময় তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
কাতারভিত্তিক আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগের কর্মীরা বুয়েটের এক শিক্ষার্থীকে হত্যার পর ঢাকা ও রাজশাহীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেছেন।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করায় ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। এ নিয়ে রাজধানী ঢাকা ও রাজশাহীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ চলছে।
দুবাইভিত্তিক গণমাধ্যম গালফ নিউজের শিরোনাম- বাংলাদেশ : শিক্ষার্থী হত্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের শুরু। প্রতিবেদনে লেখা হয়, এক আন্ডারগ্র্যাজুয়েটকে পিটিয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে সোমবার আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা এবং প্রধান কয়েকটি সড়ক বন্ধ করে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম দেয়- বাংলাদেশে শিক্ষার্থী হত্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে পানি বণ্টন নিয়ে সরকারের সমালোচনা করায় ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এগুলো ছাড়া অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি এভাবেই গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবেদনগুলোতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ছবিও প্রকাশ করা হয়।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। রবিবার মধ্যরাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে চকবাজার থানা পুলিশ।
জানা যায়, ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েক নেতা।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না ও মুনতাসির আলম জেমি।
সূত্র: সময়ের আলো
বাংলার কথা/অক্টোবর ০৮, ২০১৯