ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশে ফাইজার ও সিনোভ্যাকের টিকাদান চলছে ১২ বছরের বেশি শিশুদের। ৫-১২ বছর বয়সীদের ‘জাইকোভ-ডি’ নামে নিজস্ব টিকাদান শুরু হচ্ছে ভারতে। আর কিউবায় ৩ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের শরীরে ট্রায়াল চলছে দুটি টিকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যদের মতো শিশুদেরও টিকার আওতায় আনা উচিত।
বিশ্বে সবার আগে শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকা ব্যবহারে অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মে মাস থেকেই ১২ বছর এবং তার বেশি বয়সী শিশুদের শরীরে চলছে টিকাদান। এখন ৫ এবং ৭ বছর বয়সী শিশুদের শরীরেও পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ চলছে ফাইজারের টিকা।
জুনেই ফাইজারের টিকা ১২-১৫ বছর বয়সীদের ব্যবহারে অনুমোদন দেয় ইইউ। বর্তমানে ১৮ টিরও বেশি দেশে শিশু-কিশোরদের টিকাদান চলছে। এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ১ জুন থেকে ১২- ১৮ বছর বয়সীদের ফাইজারের টিকাদান শুরু করে সিঙ্গাপুর।
৫ জুন সিনোভ্যাককে ৩-১৭ বছর বয়সীদের নিরাপদ ঘোষণা করে চীন। সম্প্রতি সিনোভ্যাক এবং সিনোফার্মের দুই টিকাকে ১৮ এবং এর উপরের বয়সীদের প্রয়োগে অনুমোদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ৭ দেশে কোভিড ১৯ এ শিশু মৃত্যুহার নিয়ে বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেটের সবশেষ গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, গড়ে প্রতি লাখে শিশু মৃত্যুহার শূণ্য দশমিক ১৭ শতাংশ।
এ অবস্থায় সোবরানা টু’ এবং ‘সোবরানা প্লাস’ নামে দুটি টিকা ৩ উর্ধ এবং ১২-১৮ বছর বয়সীদের শরীরে পরীক্ষা চালাচ্ছে কিউবা। ৫ উর্ধ শিশুদের জন্য জাইকভ-ডি নামে ৩ ডোজের নিজস্ব টিকা প্রয়োগের পথে ভারত। ১২-১৭ বছর বয়সী প্রায় ৪ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষাশেষে মার্কিন কোম্পানি মডার্না বলছে, তাদের উদ্ভাবিত টিকা ৯৩ ভাগ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে।
৩ ধাপে চলছে ট্রায়াল। শিশুদের টিকার আওতায় না আনা গেলে কোনোদেশেই শতভাগ হার্ড ইমিউনিটি অর্জন সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্রে ৬ মাস থেকে ১১ বছর বয়সীদের ওপর ট্রায়াল চালাচ্ছে মডার্না ও ফাইজার।