ইকোনোমিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের মান বেড়েছে। সেই সঙ্গে মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দর হ্রাস পাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসি, মাইনিং ও গোল্ড প্রাইস ডটকমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, আগামী সপ্তাহে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র। যার ওপর নির্ভর করে সুদের হার উচ্চ বা নিম্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। আপাতত সেদিকে নজর রাখছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে স্বর্ণে বিনিয়োগে সতর্ক রয়েছেন তারা। তাই গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দরপতন ঘটছে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে ২০২২ ডলার ৮৬ সেন্টে। শুধু দৈনিক নয়, সাপ্তাহিক হিসাবেও বেঞ্চমার্কটির মূল্য নিম্নগামী হয়েছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ।
একই কার্যদিবসে ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। আউন্সপ্রতি দর নিষ্পত্তি হয়েছে ২০৩৮ ডলার ৭ সেন্টে। সবমিলিয়ে মাসিক ভিত্তিতে বেঞ্চমার্কটির দরপতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শুরুতে বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল স্বর্ণের দাম। গত ৩ ডিসেম্বর লেনদেনের এক পর্যায়ে প্রতি আউন্সের দর দাঁড়ায় ২১৫২ ডলারে। সর্বকালে যা ছিল সর্বোচ্চ। মানে এর আগে কখনও মূল্যবান ধাতুটির এত দেখেনি বিশ্ববাসী।
অবশ্য ইতিহাস সৃষ্টির পরই পতনের মুখে পড়ে স্বর্ণ। ধীরে ধীরে মূল্য হ্রাস পেতে থাকে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের। সেই থেকে এখন পর্যন্ত যার দাম কমেছে প্রায় ১৩০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ২৫৪ টাকা। সামনে এ ধারা অব্যাহত থাকে কিনা, সেটাই দেখার অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা।
বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান গেইনসভাইল কয়েনের প্রধান বাজার বিশ্লেষক এভারেট মিলম্রান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে; দীর্ঘমেয়াদে সুদের হার উচ্চ রাখবে ফেড। এর মানে বিশ্বের অন্যান্য বৃহৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও তা অনুসরণ করবে। এতে স্বর্ণের দাম আরও কমবে। তবে প্রতি আউন্সের দর ১৯৬০ ডলারের নিচে নামার সম্ভাবনা নেই।