রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। একই সঙ্গে মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সোমবার বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমানের মাইলস্টোন স্কুলে ধসে পড়ার ঘটনা একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি। এই ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, এটা পুরো জাতির জন্য এক সংকটের মুহূর্ত। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে যদি কারও অবহেলা বা দায়িত্বহীনতার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগ প্রয়োজন ছিল, তাতে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো নিয়ে সরকার যেভাবে সমন্বয়হীনতার পরিচয় দিয়েছে, তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। পাশাপাশি মিরপুরে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতিতে একজনকে পেটানোর সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন তাঁরা।
দলটির নেতারা বলেন, সরকারকে অবশ্যই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সংযম ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ক্ষোভকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে দলটির নেতারা বলেন, এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে কেউ যাতে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে না পারে, সে জন্য জনগণকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এখন জরুরি মুহূর্তে সরকারের উচিত সর্বশক্তি নিয়োগ করে আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। সব রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসে এই সংকট মোকাবিলায় সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলন মনে করে, ‘এই সংকটময় মুহূর্তে জনগণের ঐক্যই সবচেয়ে বড় শক্তি। ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমরা যেকোনো সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।’