স্পোর্টস ডেস্ক, আজনিউজ২৪: করোনাভাইরাসে পৃথিবী বদলে না গেলে বছরের এই সময়টায় নিশ্চিতভাবেই জমকালো বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) নিয়েই মজে থাকত দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট প্রশাসন। প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে তাই আয়োজন করতে হলো বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। সদ্য শেষ হওয়া সেই আসরে বিদেশি ক্রিকেটার না থাকায় বাড়তি সুযোগ মিলল স্থানীয় ক্রিকেটারদের। ম্যাচের কঠিনতম পরিস্থিতিতে নিজেদের মেলে ধরার পরীক্ষাটিও দেওয়া হয়ে গেল তাঁদের। যা দেখে নিজেদের ভবিষ্যৎ ভাবনায় এই আসরকে পাকাপাকিভাবে ঢুকিয়ে নিতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনাল দেখতে এসে সে কথাই বললেন সভাপতি নাজমুল হাসান, ‘‘বিপিএলের চেয়েও অনেক বেশি ‘ইন্টারেস্টিং’ ছিল টুর্নামেন্টটি আমার কাছে। এর কারণ হলো এতগুলো স্থানীয় খেলোয়াড় খেলার সুযোগ পেয়েছে। অন্যান্য বছর কিন্তু এত খেলোয়াড়কে দেখার সুযোগ আমাদের হয় না।’’
যদিও এটি নিয়মিতভাবে আয়োজনের পথে তিনি বাধাও দেখতে পাচ্ছেন কিছু, ‘বোর্ডেও আমরা এটি নিয়ে আলাপ করেছি। প্রতিবছরই এই টুর্নামেন্টটি আমরা আয়োজন করতে চাই। তবে নির্ভর করছে অনেক কিছুর ওপর। আমাদের এফটিপি ও আইসিসির প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সুযোগ থাকলে অবশ্যই আমরা এটিকে অগ্রাধিকার দেব। প্রতিবছরই এটি করতে চাই।’ অবশ্য শুধু এটি আয়োজন করলেই তো সব হয়ে যাবে না। ঘরোয়া ক্রিকেটের নির্ধারিত আরো কিছু আসর রয়েছে। এর মধ্যে গত মৌসুমের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) গত ১৬ মার্চের পর থেকেই স্থগিত। সেটি আয়োজনে যথারীতি পুরনো ভাবনার কথাই বলতে শোনা গেল নাজমুলকে, ‘জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি ভ্যাকসিন চলে আসে, সে ক্ষেত্রে সবাইকে ভ্যাকসিনেট করে হয়তো আয়োজনের কথা ভাবা যেতে পারে।’ এর আগে আপাতত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফর নিয়েই যত ভাবনা, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা সতর্ক থেকে করতে হবে। কারণ আমাদের এখানে কেউ সংক্রমিত হলে সেটি বাইরে নেতিবাচক বার্তা ছড়াবে। তাই এমন কিছু করা যাবে না, যাতে এ রকম কিছু হয়। তবে আমার ব্যক্তিগত মত হলো, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে। তখন আমরা অনেক কিছু করতে পারব।’
সূ্ত্র: কালের কণ্ঠ