ন্যাশনাল ডেস্ক: জাতীয় পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সাশ্রয়ের লক্ষ্যে বুধবার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এর সভাপতিত্বে পানি ভবনের কনফারেন্স রুমে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সাশ্রয়ের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়।
সেন্ট্রাল এসি এর থার্মোস্ট্যাটযুক্ত অংশের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস নির্ধারণ করে থার্মোস্ট্যাট লক করা হয়েছে বিধায় তাপমাত্রা এর নীচে নামানো সম্ভব নয়। প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর ১ ঘণ্টা সেন্ট্রাল এসি চালু থাকবে। সেন্ট্রাল এসি এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণযোগ্য অংশের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর নীচে নামিয়ে ব্যবহার করা যাবেনা। পানি ভবনের সবগুলো করিডোরের লাইট বন্ধ থাকবে।
অফিসকক্ষের ডেস্ক এর উপরের লাইট ব্যতিত অন্য সকল লাইট বন্ধ থাকবে। কক্ষ ত্যাগের সময় লাইট এবং এসি বন্ধ করতে হবে। পানি ভবনের অভ্যন্তরস্থ সকল গ্লাসডোর বন্ধ রাখতে হবে। রুমে আলো প্রবেশের সুবিধার্থে গ্লাসডোরে লাগানো ফ্রোস্টেড পেপার খুলে স্বচ্ছ করতে হবে। কক্ষসমূহের জানালার স্ক্রীনসমূহ গুটিয়ে আলো চলাচলের পথ সুগম করতে হবে। পানি ভবন ক্যাম্পাসে গার্ডেনের লাইটসমূহ বন্ধ রাখতে হবে।
কোনো দপ্তরেই ইলেকট্রিক কেটলী এবং ওভেন ব্যবহার করা যাবেনা। সকাল ৯টায় অফিসের কার্যক্রম শুরু করে বিকাল ৫টার মধ্যে অফিস ত্যাগ করতে হবে। পানি ভবনে ৩টি লিফ্ট চালু থাকবে। অন্য সকল লিফ্ট বন্ধ থাকবে। দিনের বেলায় সূর্যের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ব্যক্তিগত কাজে অফিসের গাড়ী ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। জ্বালানী সাশ্রয়ের লক্ষ্যে একই গাড়ীতে একাধিক কর্মকর্তাগণের অফিস যাতায়ত উৎসাহিত করা হয়েছে। সাইট পরিদর্শনে একাকী গাড়ী ব্যবহার কমাতে হবে। প্রশিক্ষণ কোর্স সংখ্যা কমাতে হবে। মিটিংসমূহ যথাসম্ভব অনলাইনে করতে হবে।
এছাড়া উক্ত সভায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারকে অবহিত করেন যে, পানি ভবনে নির্মিত সোলার প্যানেল হতে প্রতিমাসে গড়ে ১২০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হয়ে থাকে এবং পানি ভবনের অধিকাংশ কক্ষ স্বচ্ছ গ্লাস দ্বারা নির্মিত হওয়ায় লাইটের ব্যবহার সাধারণত কম হয়ে থাকে। সভায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাপাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ সকল স্তরের দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।