মোটা অঙ্কের বেতনের লোভনীয় চাকরি দেখিয়ে ইতালিতে নেওয়ার কথা বলে জাল ভিসা ধরিয়ে দেওয়াই নয়, সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর নাম করেও শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিত একটি চক্র। এমনকি অনেকের পাসপোর্ট আটকে রেখে হয়রানিও করত তারা।
সেই চক্রের মূল হোতা জোসনা খাতুন (৩৫) আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কাফরুল থানার ইব্রাহিমপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকা মেট্রো পূর্ব বিভাগের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। জোসনার বাড়ি নড়াইলের দলজিৎপুর গ্রামে। তাঁর স্বামীর নাম মেহেদী হাসান।
সিআইডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জোসনা খাতুনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় করা প্রতারণা মামলায় তিনি এজাহারনামীয় প্রধান আসামি। প্রতারক চক্রটি প্রথমে বিদেশে চাকরির লোভ দেখাত। পরে কয়েক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে দেওয়া হতো ভুয়া ভিসা। অনেকের পাসপোর্ট আটকে রেখে হয়রানিও করত তারা।
ফরিদপুর, নড়াইল, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এ চক্রের নেটওয়ার্ক রয়েছে।
এর আগে এ চক্রের আরেক সক্রিয় সদস্য ফরিদপুরের মিলন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল। তদন্তে বেরিয়ে আসে, বিদেশে পাঠানোর নামে তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক সংগ্রহ করতেন। অন্তত শতাধিক মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা।