ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত এক বাংলাদেশি যুবকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. লিটন (৩২)। তিনি ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বাঁশপদুয়া গ্রামের গাছি মিয়ার ছেলে। আজ শুক্রবার সকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিলোনিয়া হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পরশুরাম উপজেলার বাঁশপদুয়া সীমান্তে মো. লিটনসহ তিন যুবক গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে মো. লিটন ছাড়াও মিল্লাত হোসেন (২১) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় মো. আফছার (৩১) নামে আরেকজনকে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে পরশুরাম উপজেলার গুথুমা বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ২১৬৪/৩–এর নিকটবর্তী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন মো. লিটন, মিল্লাত হোসেন ও মো. আফছার। সীমান্তবর্তী বাঁশপদুয়া গ্রামের লোকজন মিল্লাত আর আফছারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তবে লিটন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্তের ওপারে ভারতীয় এলাকায় পড়ে ছিলেন। বিএসএফ সদস্যরা গুলিবিদ্ধ লিটনকে উদ্ধার করে বিলোনিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালে লিটনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজিবি ৪ ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘তিনজন রাতের আঁধারে বর্ডার লাইন ক্রস করে ভারতের অংশে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁরা চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত। ভারত থেকে মালামাল নিয়ে বেরিয়ে আসার সময় বিএসএফ তাঁদের ধাওয়া দেয়। নিহত লিটনের লাশ ফিরিয়ে আনতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে’।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন আরও বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফের গুলির ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হবে। চোরাকারবারিদের প্রতিহত করতে প্রাণঘাতী গুলির পরিবর্তে ছররা গুলি ব্যবহার করা যেত। কোনো অবস্থাতেই বর্ডার এলাকায় ফায়ারিং কাম্য নয়।’