পলিটিক্যাল ডেস্ক, আজনিউজ২৪: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ পেশায় স্বনামধন্য আইনজীবী। কিন্তু সে পরিচয় ছাপিয়ে দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদ তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলেও তিন দফা দল পাল্টে বিএনপি, জাতীয় পার্টি পরে আবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন এই নেতা। ক্যারিয়ারের সূচনা লগ্ন থেকেই নানাবিধ কর্মকাণ্ডের কারণে যেমন নন্দিত হয়েছেন, আবার বার বার দল বদলে হয়েছেন সমালোচিতও। তিনি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
১৯৪০ সালের ২৪ মে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন মওদুদ আহমদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করে লন্ডন থেকে বার অ্যাট ‘ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এরপর দেশে এসে উচ্চ আদালতে দায়িত্ব পালন শুরু করেন ব্যারিস্টার মওদুদ।
রাজনীতির শুরুটা হয় আওয়ামী লীগের হাত ধরে। মুক্তিযুদ্ধের আগে তিনি কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। ১৯৭৭ এর পর মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারে উপদেষ্টা থাকা অবস্থায় মন্ত্রিত্ব পান। এরপর তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় উপ-প্রধানমন্ত্রীর। এমনকি বিএনপি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এই মওদুদ আহমদ।
জিয়া নিহত হওয়ার পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় এলে ১৯৮১ সালে তথ্যমন্ত্রী হন তিনি। এরপর কয়েক দফায় উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও পরে উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পান এই রাজনীতিবিদ। ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতন হলেও থেকে যান জাতীয় পার্টিতেই। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপিতে যোগ দেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
শিল্প, পরিকল্পনা, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক, বিদ্যুৎ, পানি, রেল, সড়ক ও যোগাযোগ এবং টেলিযোগযোগ মন্ত্রণালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। অন্যদিকে, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিতও হয়েছেন তিনি।
জীবনের পড়ন্ত সময়ে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগেছেন। বিশেষ করে হৃদযন্ত্রের সমস্যাটিই প্রকট হয়ে দাঁড়ায়।
সবশেষ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্যারিস্টার মওদুদ।
সূত্র : সময় টিভি