করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাস আবার অর্ধেক আসন খালি রেখে চললেও এবার ভাড়া বাড়ছে না।
ধবার বিআরটিএর সঙ্গে বৈঠকে বাস মালিকরা ভাড়া এই দফায় না বাড়াতে রাজি হয়েছে। শনিবার থেকে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চলবে বলে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবের পর সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার ১১ দফা বিধি-নিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
এই বিধি-নিষেধে বাস-ট্রেন-লঞ্চে আবার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে বলা হয়, যেমনটা গত বছর ও তার আগের বছর করা হয়েছিল।
তখন অর্ধেক আসন খালি রেখে বাস চলার ক্ষেত্রে ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে বাস ভাড়া বাড়ানোর পর এবারও ভাড়া বাড়াতে বলছিল বাস মালিকরা।
কিন্তু বুধবারের বৈঠকে তাতে সাড়া মেলেনি।
বনানীতে বিআরটিএ ভবনে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ, মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রমেশ ঘোষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীসহ পরিবহন মালিকরা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে এনায়েত উল্যাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিদ্যমান ভাড়ায় শনিবার থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করবে।”
ভাড়া না বাড়িয়ে বাসে আসন খালি রাখতে রাজি হলেও দাঁড়িয়ে যাত্রী বহন করতে চাইছেন পরিবহন মালিকরা।
বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকেশ ঘোষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেটাই আমরা মেনে চলব। কিন্তু আমরা আমাদের কিছু প্রস্তাব সভায় তুলে ধরেছি।
“ঢাকায় অফিস আওয়ারে অর্ধেক আসনে যাত্রী বহনের নিয়ম মেনে চলা অসম্ভব হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী যেন আমরা বহন করতে পারি, সে বিষয়ে বলেছি। আমরা বলেছি, আসনের বেশি দাঁড়ানো কোনো যাত্রী নেওয়া হবে না।”
এ বিষয়ে বিআরটিএর কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।