স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন বার কাউন্সিল নির্বাচনে লড়বেন গরীবের আইনজীবী মরহুম বাসেত মজুমদারের প্রতিকৃতি তারই সুযোগ্য সন্তান সাঈদ আহমেদ রাজা। বাবার আদর্শকে অনুসরন করে ইতোমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন সাধারণ আইনজীবি থেকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে। প্রয়াত বাবার মতো অন্যায়কে প্রশ্রয় আশ্রয় দিতে একইবারে নারাজ ব্যারিস্টার রাজা। সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে ঝুলে থাকা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে মাঠে-ঘাটে কাজ করে যাচ্ছে নবীন-প্রবীন আইনজীবীদের জন্য। এছাড়া বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজ করে মানুষের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন ব্যারিস্টার রাজ।
দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচন আগামী ২৫ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন স্বাক্ষরিত নির্বাচন সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ২৫ মে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন, দেশের সব দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণসহ বাজিতপুর, ইশ্বরগঞ্জ, দুর্গাপুর, ভাংগা, চিকন্দি, পটিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নবীনগর ও পাইকগাছা দেওয়ানি আদালতসমূহে একটি করে ভোটকেন্দ্র থাকবে।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীরা হলেন, সাধারণ আসনে এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, সাবেক মন্ত্রী এডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা বার-এর সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল, এডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান, এডভোকেট শাহ মো. জিকরুল আহমেদ, এডভোকেট মো. রবিউল আলম (বুদু), এডভোকেট মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ (রাজা)। অঞ্চলভিত্তিক গ্রুপ আসনে-ঢাকা অঞ্চলের জন্য এডভোকেট আবদুল বাতেন, ময়মনসিংহ টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর অঞ্চলের জন্য এডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন খান, চট্রগ্রাম ও নোয়াখালীর জন্য এডভোকেট মোহাম্মদ মুজিবুল হক, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের জন্য এডভোকেট এ এফ এম রুহুল এনাম চৌধুরী (মিন্টু), খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালীর জন্য এডভোকেট আনিস উদ্দিন আহমেদ শহীদ, রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়ার জন্য এডভোকেট মো. ইকরামুল হক এবং দিনাজপুর, বগুড়া, রংপুর ও পাবনার জন্য এডভোকেট মো. আবদুর রহমান।
গেজেট অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন ছিল ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। সে অনুযায়ী প্রার্থীগণ মনোয়নপত্র দাখিল করেছেন। তফসিল অনুযায়ি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৩ এপ্রিল এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ এপ্রিল ।
করোনা মহামারি জনিত পরিস্থিতির কারণে বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে না পারায় বর্তমানে একটি এ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব পালন করছে। এই কমিটি ৩০ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ১ জুলাই নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
১৯৭২ সালের বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনারস অ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার অনুসারে, ১৫ জন সদস্যকে নিয়ে বার কাউন্সিল গঠিত হয়। এর মধ্যে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হন পদাধিকারবলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল। বাকি ১৪ জন সদস্য সারা দেশের আইনজীবীদের ভোটে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত ১৪ সদস্য ভোটাভুটির মাধ্যমে একজনকে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।
সর্বশেষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সংখ্যাগরিষ্টতা লাভ করে। সিনিয়র এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মরহুম বাবা এডভোকেট বাসেত মজুমদারের পৈতৃক নিবাস কুমিল্লায় সমাজসেবামূলক করার সময় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা, সিনিয়র আইনজীবী মরহুম আব্দুল বাসেত মজুমদার এর কর্নিষ্ট সন্তান। আসন্ন বার কাউন্সিল নির্বাচনে সমন্বয় পরিষদ প্যানেলে আমি সাধারন আসনের সদস্য পদপ্রার্থী। আমার বাবার হাত ধরেই ২০০০ সালে আইন পেশায় আমার পদচারনায় শুরু এবং আমার বাবার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার সাহচর্য্যেই কাজ করেছি। যেভাবে আমি আমার বাবার সাথে ছিলাম ঠিক একইভাবে এখন আপনাদের সাথে কাজ করে যাচ্ছি এবং আমৃত্যু করে যাব । আমার বাবা জীবদ্দশায় যেভাবে আপনাদের জন্য কাজ করে গেছে আমি তার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার দৃঢতায় আপনাদের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। বাবার স্বপ্নই ছিল আইনজীবীদের পেশাগত সম্মান, পেশার নিরাপত্তা, সামাজিক অবস্হান, তাদের পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে একমাত্র আইনজীবী আমার বাবা সিনিয়র এডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার স্যার ৬৪ জেলার প্রতিটি বারে প্রতিষ্ঠিত করেন আবদুল বাসেত মজুমদার ট্রাস্ট এবং আইনজীবীদের কল্যাণে প্রতিবারেই = ২,০০০,০০ ( দুই লক্ষ টাকা ) করে অনুদান প্রদান করেন। বাবার রেখে যাওয়া ট্রাস্ট আইনজীবিদের জন্য সারাটি জীবন কাজ করে যাবে ইনশাল্লাহ।’
বাবা আইনজীবিদের স্থায়ী ঠিকানা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ১৫ তলা ভবনটি সারাদেশের আইনজীবীদের স্থায়ী ঠিকানা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আকুল আবেদন করেছিলেন যা প্রধানমন্ত্রী আইনজীবীদের সম্মান রক্ষার্থে নির্মাণ করে দিয়েছেন। এজন্য আইনজীবী পরিষদ এর পক্ষে আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমি আমার বাবার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতিজ্ঞায় দৃঢ প্রতিজ্ঞ, আইনজীবিদের প্রতি তার নিঃস্বার্থ ভালবাসা, আইনজীবিদের হৃদয়ে তার স্মৃতি ধরে রাখার স্বার্থে আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল কে নির্বাচিত করে আগামী দিনগুলোয় আইনজীবিদের সার্বিক উন্নয়নের পথ বাস্তবায়নের সুযোগদানে আপনাদের নিকট আকুল আবেদন করছি।
সকলের সুস্বাস্হ্য ও মংগল কামনা করে আপনাদের আশীর্বাদ এবং পুর্ন সমর্থন কামনা করছি।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।