মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ‘ বারবার এদেশের পরাজিত শত্রু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছে। এখনো তারা চায়না নির্বাচন হোক। তারা জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জানিয়েছে। বিএনপি জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ বা প্রতিষ্ঠিত কোনটার সঙ্গে নেই।
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার বিকালে মিরসরাই মিনি স্টেডিয়াম বর্ণাঢ্য র্যালি র্যালি ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বর্ণাঢ্য র্যালিটি কলেজ রোড হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিন করে ঊষা মাঠে সমাবেশ স্থলে জড়ো হয়। মিছিলে হাজার হাজার নেতাকর্মী ফেস্টুন, ব্যানার, প্লেকার্ড সহ মাথায় ক্যাপ পরে পিক-আপে ধানের শীষের নানা রকম ম্যুরাল নিয়ে নজর কাড়ে সড়কের দুপাশে সাধারণ মানুষের। মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে দুই পাশে উৎসুক জনতাকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী নুরুল আমিন চেয়ারম্যান।
বারইয়ার হাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজির সভাপতিত্বে মিরসরাই পৌরসভার বিএনপি সাবেক সদস্য সচিব জাহিদ হোসাইন এর সঞ্চালনায় উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান,চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান।
উক্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন্,উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, মিরসরাই উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক সাহিনুল ইসলাম স্বপন,উপজেলা বিএনপি সাবেক সদস্য মেজবাউল হক বিএনপি নেতা মুছা চেয়ারম্যান,মোশাররফ হোসেন, আমল মেম্বার, ইয়াছিন মিজান,রফিকুল ইসলাম আজিজ মেম্বার,ইমাম হোসেন বাবলু,রফিকুল ইসলাম, মনজুরুল হক মঞ্জু,মিলন ভূঁইয়া, মাজহারুল ইসলাম,নাজমুল হক সোহাগ,বারিহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম লিটন নজরুল ইসলাম লিটন, কামরান সোরওয়াদী, জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম, মিরসরাই উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কামাল উদ্দিন, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক আশাফ উদ্দিন, আবু দাউদ, সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ফোরকান চৌধুরী, উত্তর জেলা ছাএদল সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবদুল আল নোমান,ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকার। এছাড়া সমাবেশে বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল আমিন আরো বলেন, এই পরাজিত শক্তি অতীতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিকে সাথে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলো। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের কোন ষড়যন্ত্র আর সফল হতে দিবে না। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে মিরসরাই থেকে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন এবং তার ভাই নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আমিন সম্পর্কে বলেন,আমরা শুনেছি, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন অধ্যাপক কামাল উদ্দিনের পরিবারের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে, তোমরা এমপি হলেও কাজ করতে পারবেনা। তাই আমাকে এমপি সমর্থন করলে আমি তোমাদের উপকার করবো। তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোশাররফ হোসেন কে নির্বাচিত করে সেদিন ভোট গননা শেষ না করেই নির্বাচনের কন্টোল রুম থেকে চলে যান। পরবর্তীতে একটি দিনের জন্য আর বিএনপি করেননি। কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। একটি মামলার আসামি হলেন না। আমি এই ১৭ বছর নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম, জেলখানা থেকে রাজপথ সব জায়গায় ছিলাম। কর্মীদের সুখে দুঃখে ছিলাম। এখন আবার কামাল উদ্দিন চৌধুরীর ভাই মহিউদ্দিন চৌধুরী বিএনপি থেকে মনোনয়নের জন্য তদবির করছেন। আপনারা মিরসরাই আসলে আগে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সাথে কি সমঝোতা হয়েছিলো তার জবাব নিয়ে আসবেন। এখনো বিএনপি নেতা কর্মীরা তাদের বিজয় কিভাবে ছিনতাই হয়েছিলো তার উত্তর জানতে চায় ।
নুরুল আমিন চেয়ারম্যান আরো বলেন, ২০০১ সালে বিএনপির এমপি এম এ জিন্নার আমলে দূর্নীতি সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছিলো। এমপির ঘনিষ্ট দোসর ছিলেন নুরুল আমিন, আবদুল আউয়ালরা। আউয়াল সাহেব নিজেকে ভালো মানুষ দাবি করেন, তার রেডক্রিসেন্ট থেকে দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি গিয়েছিল।
নুরুল আমিন চেয়ারম্যান আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর বিএনপির মতো বিশাল দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করার মতো আমার কোন শক্তি ছিলোনা। আমার কোন দায়িত্ব ছিলোনা। তবুও যেখানে অভিযোগ পেয়েছি, ব্যবস্থা নিয়েছি। অথচ আমাকে চাঁদাবাজ বলা হয়। আমি কারো থেকে চাঁদা নিয়েছি প্রমান দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দিবো। আমাকে বহিষ্কার করে প্রিয় নেতা তারেক রহমান অভিযোগ কারীদের পরিক্ষা করেছেন। তারা সে পরিক্ষায় ফেল করেছেন। তাদের সাথে কোন নেতাকর্মী নেই। তিনি ষড়যন্ত্র না করে ঐক্যের আহবান জানান। তিনি তার অনুসারীদের উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, বহিষ্কার যে কোন সময় প্রত্যাহার হয়ে যাবে, সময়ের ব্যাপার মাত্র। আপনারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন।