বরগুনার বামনা উপজেলা সৃষ্টির ৩৯ বছরের দীর্ঘপ্রতিক্ষার পর আজ প্রথম বামনা উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঈদুল ফিতর এর নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ৮ টায় বামনা উপজেলা পরিষদের সামনে নির্মিত নতুন ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ পরিনত হয়ে এক ঐতিহাসিক মিলন মেলায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ নির্মানের প্রক্রিয়া শুরু হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজের মন্থর গতি লক্ষণীয় হলে এই উপজেলার সর্বস্থরের মুসল্লিয়ান একরাম তাদের দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিক্ষায় থাকা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে এবাবের ঈদের জামায়েত আদায়ের লক্ষে ধর্মীয় এ অধিকার আদায়ে জনগনকে নিয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ রানা, উপজেলা জামায়াত ইসলামের সেক্রেটারির সাইফুল মানসুরসহ অন্যান রাজনৈতিক দল, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষকবৃন্দ, ইমাম, মোয়াজ্জেম সকলে একযোগে এগিয়ে আসায় যথাসময়ে নির্মাম কাজ সম্পন্ন হয়। এবিষয়ে জনস্বার্থে বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা : নিকহাত আরা মহোদয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন ও আর্থিক সহোযোগিতাসহ তদারকির কারনে উপজেলার জনসাধারণের কাছে তিনি প্রশংসিত। বামনা প্রেসক্লাবে সভাপতি আবু নাসের গোলাম কিবরিয়া সংবাদেকদের সাথে নিয়ে দিনরাত পরিশ্রমে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে নামাজ আদায়ের প্রচেষ্টায় মুসুল্লিরা কৃতজ্ঞতা জানায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ রানা বলেন -বামনা মুসল্লিদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ঈদগাহ। বিগত বিভিন্ন সরকারের সময়ে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দায়িত্বশীলদের মতের ভিন্নতার জটিলতা ও সদিচ্ছার অভাবে এ উপজেলায় ঈদগাহ গড়ে উঠেনি বলে আমারা নমে করি। তবে সাবেক টিএনও আল ইমরান তার জনস্বার্থে এ উপজেলায় একটি ঈদগাহ নির্মানের পদক্ষেপ নিয়ে সেটি বাস্তবায়ন ও ঈদগাহে প্রথম ঈদের জামাত আদয় করতে পেরে সকলে কৃতজ্ঞতার সাথে তাকে আজীবন স্মরন করবে।